আজ 2012 এর শেষ লগ্নে দাঁড়িয়ে গোটা পৃথিবী; আসছে নতুন বছর 2013; অস্তিত্ব সংকটের মুখোমুখি ভারত। এক অপার সম্ভাবনা জাগিয়ে তোলা বিশ্বের সর্ববৃহৎ গনতান্ত্রিক রাষ্ট্রটি আরো একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রের তালিকায় নাম লেখাবে, এই কি আমাদের শেষ পরিনিতি...? 200 বছর সুলতানি, 300 বছর মুঘল, 200 বছর ইংরেজদের কাছে গোলামি থাকাকালীন অজস্র প্রাণের বিনিময়ে প্রাপ্ত স্বাধীনতা... সেটাও কি বিফলে যাবে? যেটা যেকোন ভারতীয়র কাছেই কঠিন চিন্তার বিষয়। আসলে আবেগ দিয়ে স্মৃতি চারণ করা যায়, কিন্তু স্মৃতিকে রক্ষা করা তো যায় না। কারণ ভারতীয়দের আবেগ বড্ড বেশি!
আমাদের বিগত ২০১০ সাল থেকে একের পর এক সমস্যা, ঘাটতি, রাজনৈতিক অস্থিরতা, দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও অগণিত অনিয়ম; যার ফলে উন্নয়নের নিম্নমুখি ভারত। দেশের আনাচে কানাচে অনেক অনিয়ম-বিশৃঙ্খলা। এরকম অনেক ইস্যুতেই আজ আমাদের নজর দেওয়া প্রয়োজন। ভারতের অর্থনীতি থেকে সামরিক কাঠামো সবই নিম্নমুখি, কিন্তু প্রতিবেশী রাষ্ট্র চিন, যে প্রতিনিয়ত ভারত তথা গোটা বিশ্বকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ছে। ফলে শুরু হয়েছে ঘাঁটির লড়াই। যাকে এশিয়ার ঠাণ্ডা লড়াই বলা যেতে পারে।
রাষ্ট্র একটা বৃহৎ সংসারের মত। এখানে নিত্য দিনের চাহিদার পাশাপাশি আপনাকে আপনার ঘরও মজবুত করতে হবে। আর এই বিশ্বে তা করতে হলে এখন ট্যাঙ্ক, বারুদ, পারমাণবিক প্রযুক্তি, জাহাজ, বিমানের সাথে সাথে পজিশেনও ঠিক করতে হবে। আর এখানে বলা ভালো কিছু জিনিস, যেমন সামরিক বাহিনী, বিদেশনীতি, সামরিক বাহিনীর পরিক্ষাঠামো বা সরঞ্জাম, আমদানি, রপতানি ইত্যাদি বিষয়ে প্রতিবেশি রাষ্ট্রগুলোর নীতি ও সম্পর্ক এর উপর নির্ভরশীল।
ইউরোপ-আমেরিকা-সাবেক সোভিয়েত থেকে ধীরে ধীরে সরে এসে এশিয়া কিভাবে এই আন্তর্জাতিক ঘাঁটির লড়াই-এর ময়দান হয়ে উঠছে সে বিষয়ে কয়েকটি কথা তুলে ধরবো।
বিশ্ব রাজনীতিতে ভারতের গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠার কারন
১) ভারত নামক রাষ্ট্রটি অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে ভ্রুন অবস্থাতেই। ভৌগোলিক আয়তনের বিচারে এটি দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম এবং বিশ্বের সপ্তম বৃহত্তম রাষ্ট্র। অন্যদিকে জনসংখ্যার বিচারে এই দেশ বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বাধিক জনবহুল তথা বৃহত্তম গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। ভারতের পশ্চিম সীমান্তে পাকিস্তান উত্তর-পূর্বে চীন, নেপাল, ও ভূটান এবং পূর্বে বাংলাদেশ, মায়ানমার ও মালয়েশিয়া অবস্থিত। এছাড়া ভারত মহাসাগরে অবস্থিত শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ ও ইন্দোনেশিয়া ভারতের নিকটবর্তী কয়েকটি দ্বীপরাষ্ট্র। দক্ষিণে ভারত মহাসাগর, পশ্চিমে আরব সাগর ও পূর্বে বঙ্গোপসাগর দ্বারা বেষ্টিত ভারতের উপকূলরেখার সম্মিলিত দৈর্ঘ্য ৭,৫১৭ কিলোমিটার (৪,৬৭১ মাইল)। ওয়ার্ল্ড এর ২৩.৭% জি.ডি.পি. সরবরাহ করে ভারত। ৫১৬.৩ মিলিয়ন জনসংখ্যা অধ্যুষিত ভারত পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম শ্রমশক্তির দেশ। এই শক্তির ৬০ শতাংশ নিয়োজিত কৃষিখাতে ও কৃষিসংক্রান্ত শিল্পগুলিতে, ২৮ শতাংশ পরিষেবা ও পরিষেবা-সংক্রান্ত শিল্পে এবং ১২ শতাংশ নিযুক্ত শিল্পখাতে।
আমাদের উপর এটা যে কোন দেশেরই ঈষার কারন হতে পারে। কিন্তু তুলনামূলক ভাবে আমরা অনেক গরীব দেশ । কিন্তু সেই দেশেই আছে বিশ্বের অন্যতম ব্যায়বহুল পার্লামেন্ট ভবন! যেমন বিপিএলের দেশে আইপিএল। কিন্তু কোন অজুহাত দেখিয়ে এগুলো থেমে থাকে না। আমি বলছি না এগুলো খারাপ। এগুলো দেশের ইমেজ বাড়ায়। কথা হল – একটা কাজ করতে গিয়ে বাকি সব কাজ বন্ধ করে রাখলে তো আর চলবে না! আমাদের রিসোর্স আর সম্পদের সঠিক ব্যবহার হলে আমরা অনেক দ্রুতই অনেক সমস্যার সমাধান করতে পারি। কিন্তু দুর্নীতি আর সুদূরপ্রসারী চিন্তার অভাবে তা হচ্ছে না। এই মুহূর্তে তার জ্বলত উদাহরণ- কোলগেট স্ক্যম।
২) জ্বালানী সম্পদের প্রাচুর্যের কারনে এবং ভৌগলিক গুরুত্বের দিক দিয়ে ভারত, ময়ানমার, ভিয়েতনাম, আরব সাগর, বঙ্গপোসাগর ও দক্ষিণ চিন সাগর এর গুরুত্ব বেরে যাওয়া। ভালো ভাবে বললে মধ্য-প্রাচের সঙ্গে সঙ্গে এশিয়ার গুরুত্ব বেরে যাওয়া।
আমাদের বিগত ২০১০ সাল থেকে একের পর এক সমস্যা, ঘাটতি, রাজনৈতিক অস্থিরতা, দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও অগণিত অনিয়ম; যার ফলে উন্নয়নের নিম্নমুখি ভারত। দেশের আনাচে কানাচে অনেক অনিয়ম-বিশৃঙ্খলা। এরকম অনেক ইস্যুতেই আজ আমাদের নজর দেওয়া প্রয়োজন। ভারতের অর্থনীতি থেকে সামরিক কাঠামো সবই নিম্নমুখি, কিন্তু প্রতিবেশী রাষ্ট্র চিন, যে প্রতিনিয়ত ভারত তথা গোটা বিশ্বকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ছে। ফলে শুরু হয়েছে ঘাঁটির লড়াই। যাকে এশিয়ার ঠাণ্ডা লড়াই বলা যেতে পারে।
রাষ্ট্র একটা বৃহৎ সংসারের মত। এখানে নিত্য দিনের চাহিদার পাশাপাশি আপনাকে আপনার ঘরও মজবুত করতে হবে। আর এই বিশ্বে তা করতে হলে এখন ট্যাঙ্ক, বারুদ, পারমাণবিক প্রযুক্তি, জাহাজ, বিমানের সাথে সাথে পজিশেনও ঠিক করতে হবে। আর এখানে বলা ভালো কিছু জিনিস, যেমন সামরিক বাহিনী, বিদেশনীতি, সামরিক বাহিনীর পরিক্ষাঠামো বা সরঞ্জাম, আমদানি, রপতানি ইত্যাদি বিষয়ে প্রতিবেশি রাষ্ট্রগুলোর নীতি ও সম্পর্ক এর উপর নির্ভরশীল।
ইউরোপ-আমেরিকা-সাবেক সোভিয়েত থেকে ধীরে ধীরে সরে এসে এশিয়া কিভাবে এই আন্তর্জাতিক ঘাঁটির লড়াই-এর ময়দান হয়ে উঠছে সে বিষয়ে কয়েকটি কথা তুলে ধরবো।
বিশ্ব রাজনীতিতে ভারতের গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠার কারন
১) ভারত নামক রাষ্ট্রটি অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে ভ্রুন অবস্থাতেই। ভৌগোলিক আয়তনের বিচারে এটি দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম এবং বিশ্বের সপ্তম বৃহত্তম রাষ্ট্র। অন্যদিকে জনসংখ্যার বিচারে এই দেশ বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বাধিক জনবহুল তথা বৃহত্তম গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। ভারতের পশ্চিম সীমান্তে পাকিস্তান উত্তর-পূর্বে চীন, নেপাল, ও ভূটান এবং পূর্বে বাংলাদেশ, মায়ানমার ও মালয়েশিয়া অবস্থিত। এছাড়া ভারত মহাসাগরে অবস্থিত শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ ও ইন্দোনেশিয়া ভারতের নিকটবর্তী কয়েকটি দ্বীপরাষ্ট্র। দক্ষিণে ভারত মহাসাগর, পশ্চিমে আরব সাগর ও পূর্বে বঙ্গোপসাগর দ্বারা বেষ্টিত ভারতের উপকূলরেখার সম্মিলিত দৈর্ঘ্য ৭,৫১৭ কিলোমিটার (৪,৬৭১ মাইল)। ওয়ার্ল্ড এর ২৩.৭% জি.ডি.পি. সরবরাহ করে ভারত। ৫১৬.৩ মিলিয়ন জনসংখ্যা অধ্যুষিত ভারত পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম শ্রমশক্তির দেশ। এই শক্তির ৬০ শতাংশ নিয়োজিত কৃষিখাতে ও কৃষিসংক্রান্ত শিল্পগুলিতে, ২৮ শতাংশ পরিষেবা ও পরিষেবা-সংক্রান্ত শিল্পে এবং ১২ শতাংশ নিযুক্ত শিল্পখাতে।
আমাদের উপর এটা যে কোন দেশেরই ঈষার কারন হতে পারে। কিন্তু তুলনামূলক ভাবে আমরা অনেক গরীব দেশ । কিন্তু সেই দেশেই আছে বিশ্বের অন্যতম ব্যায়বহুল পার্লামেন্ট ভবন! যেমন বিপিএলের দেশে আইপিএল। কিন্তু কোন অজুহাত দেখিয়ে এগুলো থেমে থাকে না। আমি বলছি না এগুলো খারাপ। এগুলো দেশের ইমেজ বাড়ায়। কথা হল – একটা কাজ করতে গিয়ে বাকি সব কাজ বন্ধ করে রাখলে তো আর চলবে না! আমাদের রিসোর্স আর সম্পদের সঠিক ব্যবহার হলে আমরা অনেক দ্রুতই অনেক সমস্যার সমাধান করতে পারি। কিন্তু দুর্নীতি আর সুদূরপ্রসারী চিন্তার অভাবে তা হচ্ছে না। এই মুহূর্তে তার জ্বলত উদাহরণ- কোলগেট স্ক্যম।
২) জ্বালানী সম্পদের প্রাচুর্যের কারনে এবং ভৌগলিক গুরুত্বের দিক দিয়ে ভারত, ময়ানমার, ভিয়েতনাম, আরব সাগর, বঙ্গপোসাগর ও দক্ষিণ চিন সাগর এর গুরুত্ব বেরে যাওয়া। ভালো ভাবে বললে মধ্য-প্রাচের সঙ্গে সঙ্গে এশিয়ার গুরুত্ব বেরে যাওয়া।
প্রথমেই বলি,
বর্তমানে অর্থনৈতিক সংকট নেই এমন দেশে বিরল, মার্কিনসহ কোন কোন সাম্রাজ্যবাদের অস্তিত্বের সংকটে পরিণত হয়েছে। এ সংকট দেশে দেশে সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসী অনুপ্রবেশকে বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। বিভিন্ন সাম্রাজ্যবাদী শক্তির মধ্যে তাদের উপনিবেশিক নিয়ন্ত্রণ ও প্রভাবাধীন অঞ্চল নিয়ে রাজনৈতিক ও সামরিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাড়ছে। ‘সন্ত্রাসবাদ বিরোধী যুদ্ধ’ কিংবা ‘গণতন্ত্রায়ণ’ যে নামেই পরিচালিত হোক দেশে দেশে যুদ্ধ ও সংঘাতের মধ্যে তা ক্রমশ তীব্রতর হচ্ছে। ফলে আজকে কেবল অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক নয়, অধিকতরভাবে রাজনৈতিক ও সামরিক আকারে সাম্রাজ্যবাদী অনুপ্রবেশ ঘটছে।
বর্তমানে অর্থনৈতিক সংকট নেই এমন দেশে বিরল, মার্কিনসহ কোন কোন সাম্রাজ্যবাদের অস্তিত্বের সংকটে পরিণত হয়েছে। এ সংকট দেশে দেশে সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসী অনুপ্রবেশকে বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। বিভিন্ন সাম্রাজ্যবাদী শক্তির মধ্যে তাদের উপনিবেশিক নিয়ন্ত্রণ ও প্রভাবাধীন অঞ্চল নিয়ে রাজনৈতিক ও সামরিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাড়ছে। ‘সন্ত্রাসবাদ বিরোধী যুদ্ধ’ কিংবা ‘গণতন্ত্রায়ণ’ যে নামেই পরিচালিত হোক দেশে দেশে যুদ্ধ ও সংঘাতের মধ্যে তা ক্রমশ তীব্রতর হচ্ছে। ফলে আজকে কেবল অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক নয়, অধিকতরভাবে রাজনৈতিক ও সামরিক আকারে সাম্রাজ্যবাদী অনুপ্রবেশ ঘটছে।
জ্বালানী সম্পদের নিয়ন্ত্রন মানে, যে কোনো দেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গার জন্য যথেষ্ট। সেটা আমেরিকা খুব ভালো ভাবে জানে। কিন্তু রাশিয়ার কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়ার জন সামরিক আভিযানের দরকার। আর দরকার বিশাল সামরিক ঘাঁটি মধ্য এশিয়ায়, যাতে কাস্পিয়ান সাগরের সম্পদে ভাগ বসানো যায় নিরাপদে।
মধ্য এশিয়ার জ্বালানী সম্পদ এর নিয়ন্ত্রনটা একচ্ছত্র রাশিয়ার, বলা ভালো সভিয়েত ইউনিয়নের ছিলো। এই নিয়ন্ত্রন হতো পাইপ লাইনের মাধ্যমে।----
মধ্য এশিয়ার জ্বালানী সম্পদ এর নিয়ন্ত্রনটা একচ্ছত্র রাশিয়ার, বলা ভালো সভিয়েত ইউনিয়নের ছিলো। এই নিয়ন্ত্রন হতো পাইপ লাইনের মাধ্যমে।----
কাজাকিস্থান, তুর্কমেনিস্থান আর কাস্পিয়ান সাগর থেকে যে পাইপলাইনগুলো তেল ও গ্যাস এর সরবরাহ করে তার নিয়ন্ত্রন যার হাতে তার হাতেই থাকে এই তেল ও গ্যাসের নিয়ন্ত্রন। মধ্য এশিয়ার জ্বালানী সম্পদে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একমাত্র লিংক হল আফগানিস্তান। দীর্ঘ এক দশকের সোভিয়েত যুদ্ধে আফগান মুজাহেদিনরা মার্কিন ও পাকিস্তানি, ইসরায়েলি সামরিক সহায়তা ও সৌদি আরব আমিরাত,কুয়েত ,মিশরের আর্থিক সাহায্যে সমাজতান্ত্রিক সোভিয়েত ইউনিয়নের রেড আর্মিকে পরাজিত করে। আজ যার পরিনতি তালিবান, আফগান তালেবান, আল- কায়দা, হাক্কানী নেটওয়ার্ক ইত্যাদি জঙ্গি গোষ্ঠী। ইসলামিক জঙ্গীদের অস্ত্র ও অর্থ দিয়ে সহায়তা করে সোভিয়েত ইউনিয়নকে আফগানিস্তানের মাটি ছাড়া করার পর থেকেই আফগানিস্তানের মাধ্যমে মধ্য এশিয়ায় নিজেদের নিয়ন্ত্রন প্রতিষ্ঠায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তৎপর ছিলো। সেই লক্ষে আফগানিস্তানে সামরিক অভিযান চালানোর আগেই মধ্য এশিয়ার উজবেগিস্তান এবং কিরগিজস্তানে সামরিক ঘাটি স্থাপন করে মধ্য এশিয়ায় নিজেদের সামরিক উপস্থিতি তৈরি করে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু এর মাধ্যমে মধ্য এশিয়ার জ্বালানী সম্পদের উপর এখনো উল্লেখযোগ্য কোন নিয়ন্ত্রন প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়নি যুক্তরাষ্ট্র। ইতিমধ্যে বারাক ওবামার USA ঘোষনা করছে 2014 এর মধ্যে আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রতাহারের। ADB-র মাধ্যমে প্রস্তাব করেছে TAPI পাইপলাইন তৈরি করার।
TAPI (T = তুর্কমেনিস্তান, A = আফগানিস্তান, P = পাকিস্তান, I=ইন্ডিয়া) পাইপলাইনের একমাথা তুর্কমিনিস্তানে এবং আরেকমাথা ইন্ডিয়ায়। তার মানে তুর্কমিনিস্তানের জ্বালানি আফগানিস্তান, পাকিস্তান এবং ইন্ডিয়ার মাধ্যমে বিশ্ব বাজারে উন্মুক্ত হবে। এই পাইপলাইনকে বলা হচ্ছে একবিংশ শতকএর সিল্ক রুট। প্রজেক্ট স্পন্সরদের আকৃষ্ট করার জন্যে সম্প্রতি নিউয়র্ক, লন্ডন এবং সিঙ্গাপুরে চার দেশের প্রতিনিধীদের উপস্থিতিতে রোড শো অনুষ্ঠিত হয় এই বছরের গোড়ার দিকে। আফগানিস্তানে এবং পাকিস্তানে মার্কিন নেতৃত্ব শতভাগ প্রতিষ্ঠিত। কিন্তু ইন্ডিয়ার সাথে বন্ধুত্ব এবং ঐক্য জোরদার করা এই কারনে আমেরিকার জন্যে জরুরি। । ইরানকে চাপে রাখাটা টাপি পাইপলাইনের অন্যতম রাজনৈতিক গুরুত্ব। উল্লেখ্য, সম্প্রতি ভারত সরকার ইরানের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন না করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে। মানে TAPI পাইপলাইন তৈরি বিশ বাঁও জলে।
{ প্রসঙ্গত, তুর্কমেনিস্তান, আফগানিস্তান, পাকিস্তান ও ভারত নিয়ে চার দেশীয় গ্যাস সঞ্চালন লাইন নির্মাণ করা হচ্ছে। এই সঞ্চালন লাইনকে সংক্ষেপে টাপি পাইপলাইন বলা হয়। দীর্ঘ আলোচনার পর ২০০৫ সালে চতুর্দেশীয় গ্যাস সঞ্চালন লাইনের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের ফল প্রকাশ করে এডিবি। এই পাইপলাইন নির্মাণ করছে সেন্ট্রাল এশিয়া গ্যাস পাইপলাইন লিমিটেড, যা সেন্টগ্যাস কনসোর্টিয়াম হিসেবে পরিচিত। এই কনসোর্টিয়ামের নেতৃত্ব দিচ্ছে মার্কিন কোম্পানি ইউনোকল। এক হাজার ৭৩৫ কিলোমিটার দীর্ঘ ৫৬ ইঞ্চি ব্যাসের এই গ্যাস সঞ্চালন লাইন নির্মাণে ব্যয় হবে সাত দশমিক ছয় বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এডিবির অর্থায়নে ২০১৭ সালে এর নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
তুর্কমেনিস্তানের ভূভাগে দৌলেতাবাদ খনি থেকে গ্যাস যাবে আফগানিস্তানের হেরাট, হেলমেন্দ ও কান্দাহার হয়ে, তারপর পাকিস্তানে বেলুচিস্তানের কোয়েটা এবং পাঞ্জাবের মুলতান হয়ে. এ অঞ্চলগুলি অশান্ত, আফগানিস্তানে ক্রমাগত যুদ্ধ চলার জন্য এবং এখানে বহুসংখ্যক জঙ্গী দলের অবস্থানের জন্য. এ পাইপলাইনের শেষ বিন্দু - পাক-ভারত সীমানার কাছে ফজিলকা শহর। }
আমেরিকা চায় মধ্যপ্রাচ্য ও এশিয়ার তেল গ্যাস সম্পদের পূর্ণ নিয়ন্ত্রন, তাহলে চীন এবং অন্যান্য বিরোধী শক্তি তাদের ক্রমবর্ধমান জ্বালানী তেলের প্রয়োজনে আমেরিকার উপর নির্ভরশীল থাকতে বাধ্য হবে। কিন্তু চীন মধ্য এশিয়া ঘাঁটির লড়াই-এ অপেক্ষাকৃত তরুন হলেও এরি মধ্যে চীন অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। USA বারো বছরে যা করতে পারেনাই, চীন মাত্র তিন বছরে তা করে দেখিয়েছে। ওয়ার্ল্ডের ২৭.৩% জি.ডি.পি. সরবরাহ করে চিন।
যুক্তরাষ্ট্রের জন্যে মধ্য এশিয়ার জ্বালানি সম্পদএর উপর নিয়ন্ত্রনের প্রক্রিয়া অত্যন্ত জটিল থাকলেও চীনএর জন্যে খুব সরল সোজা। চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত্ব জ্বালানী কোম্পানি CNPC ২০০৫ সালে কানাডিয়ান কোম্পানি পেট্রোকাজাকিস্তান কিনে নিয়ে মধ্য এশিয়ায় তাদের উল্লেখযোগ্য উপস্থিতি তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে।
অবশ্য ১৯৯৭ সালেই কাজাকসরকারের সাথে মিলে যৌথ মালিকানাধীন সাইনো-কাজাক পাইপলাইন তৈরি শুরু করে চীন। এই পাইপ লাইনের এক মাথা কাস্পিয়ান সাগরে আরেক মাথা চীনে। ২০০৫ সালে এই পাইপ লাইনের মাধ্যমেই মধ্য এশিয়া থেকে সরাসরি চীনের বুকে জ্বালানী সরবরাহ শুরু হয়। চীনকে মিনমিনে সূরে ভবিষ্যতের সুপার পাওয়ার বলতে শোনা যাচ্ছিল দীর্ঘদিন ধরেই, সেটা মূলত তাদের অর্থনৈতিক উন্নতিকে গণ্য করে।
চীন একসময় জ্বালানী নিতো শুধুমাত্র মধ্যপ্রাচ্য থেকে। এখন নেয় মধ্য এশিয়া থেকেও, এবং ভবিষ্যতের জন্যে বিকল্প পথ ও সোর্স তারা তৈরি করছে। এতো জ্বালানী চীনের কেনো দরকার প্রশ্ন উঠতে পারে। উল্লেখ্য, চীন বর্তমানে বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জ্বালানী আমদানিকারী রাষ্ট্র। এক নম্বরে আছে যুক্তরাষ্ট্র। চীনের বর্ধিষ্ণু অর্থনীতিতে এই জ্বালানী চাহিদা এতো দ্রুত বারছে যে অদূর ভবিষ্যতে তা যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়িয়ে যাবে। ২০২৮ সাল নাগাদ চীনের জ্বালানী চাহিদা হবে আমেরিকার চেয়ে ৬০ শতাংস বেশি। চীনকে এই কারনে বিশ্বের সবচেয়ে জ্বালানীভূক (Energy Hungry) রাষ্ট্র বলা হচ্ছে। উদিয়মান জ্বালানীভূক হিসাবে এর পরেই যার নাম আসছে সে হল আমাদের ভারতবর্ষ। ২০২৮সাল নাগাদ বিশ্বের ২৯ শতাংস জ্বালানী চাহিদা হবে চীন আর ইন্ডিয়ার। ২০২৮ সালের সীমা ধরে এই ভবিষ্যৎবানী করেছে EIA (এনার্জি ইনফর্মেশন এডমিনিস্ট্রেশন)।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চীন বিরোধী তৎপরতা ইতিমধ্যেই দক্ষিন এশিয়ায় চলে এসেছে। এশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে সামরিক শক্তি হিসাবে আমেরিকা থাকবে, কিন্তু স্থায়ীভাবে থাকবে না। ফৌজ পাঠানো হবে। নতুন সহযোগী ও বন্ধু তৈরি করা হবে। সহযোগীদের শক্তি অর্জনে সাহায্য করা হবে। আর এই অঞ্চলে তাঁদের প্রধান সহযোগী হবে ভারত, তা নিয়েও কোনও বিভ্রান্তি নেই মার্কিন কর্তাদের মধ্যে।
চীন একসময় জ্বালানী নিতো শুধুমাত্র মধ্যপ্রাচ্য থেকে। এখন নেয় মধ্য এশিয়া থেকেও, এবং ভবিষ্যতের জন্যে বিকল্প পথ ও সোর্স তারা তৈরি করছে। এতো জ্বালানী চীনের কেনো দরকার প্রশ্ন উঠতে পারে। উল্লেখ্য, চীন বর্তমানে বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জ্বালানী আমদানিকারী রাষ্ট্র। এক নম্বরে আছে যুক্তরাষ্ট্র। চীনের বর্ধিষ্ণু অর্থনীতিতে এই জ্বালানী চাহিদা এতো দ্রুত বারছে যে অদূর ভবিষ্যতে তা যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়িয়ে যাবে। ২০২৮ সাল নাগাদ চীনের জ্বালানী চাহিদা হবে আমেরিকার চেয়ে ৬০ শতাংস বেশি। চীনকে এই কারনে বিশ্বের সবচেয়ে জ্বালানীভূক (Energy Hungry) রাষ্ট্র বলা হচ্ছে। উদিয়মান জ্বালানীভূক হিসাবে এর পরেই যার নাম আসছে সে হল আমাদের ভারতবর্ষ। ২০২৮সাল নাগাদ বিশ্বের ২৯ শতাংস জ্বালানী চাহিদা হবে চীন আর ইন্ডিয়ার। ২০২৮ সালের সীমা ধরে এই ভবিষ্যৎবানী করেছে EIA (এনার্জি ইনফর্মেশন এডমিনিস্ট্রেশন)।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চীন বিরোধী তৎপরতা ইতিমধ্যেই দক্ষিন এশিয়ায় চলে এসেছে। এশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে সামরিক শক্তি হিসাবে আমেরিকা থাকবে, কিন্তু স্থায়ীভাবে থাকবে না। ফৌজ পাঠানো হবে। নতুন সহযোগী ও বন্ধু তৈরি করা হবে। সহযোগীদের শক্তি অর্জনে সাহায্য করা হবে। আর এই অঞ্চলে তাঁদের প্রধান সহযোগী হবে ভারত, তা নিয়েও কোনও বিভ্রান্তি নেই মার্কিন কর্তাদের মধ্যে।
নীচের ছবিতে চিন কে চাপে রাখতে USA -এর সামুদ্রিক কার্য কলাপ দেখানো হল
ভারতের অবস্থান থেকে তার রাজনৈতিক স্বার্থ বিবেচনা করা যাক। জন্মের পর থেকে এই রাষ্ট্রের প্রধান শত্রু পাকিস্তান এবং চীন। ভারতের বিপক্ষে চীনের সাথে বন্ধুত্ব গড়ে তুলেছে পাকিস্তান। ভারতের ঝুকি তখন আরো বেরেছে। পাকিস্তানের প্রত্যক্ষ সহায়তায় কাস্মিরে বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগ্রাম হয়। নাগাল্যান্ড, আসমে বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগ্রাম, দেশের মাওবাদীদের অস্ত্র যোগান, গোরখা আন্দলন হয়েছে এবম হছে চীনের সহায়তায়। দেশের আশেপাশের বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলনগুলো আরো জোড়দার হয়েছে। ভারতকে তাই খুব দ্রুত সামরিকভাবে শক্তিশালী হতে হয়েছে। সেটা হতে গিয়ে দেশের অর্থনীতির ক্ষতি করেছে। সেই ক্ষতি সামাল দিতে ভারত আঞ্চলিকভাবে আগ্রাসী রাজনৈতিক এবং মার্কিনপন্থী অর্থনৈতিক উন্নয়নের পথ বেছে নিয়েছে।
চীনের বিপক্ষে ভারতের কি কি ট্রাম কার্ড আছে?
কৌশলগত ভাবে চীনের জ্বালানী পথের উপর ইন্ডিয়া হুমকিস্বরূপ। চীন মধ্য এশিয়া থেকে জ্বালানী নিচ্ছে অল্পকিছুদিন ধরে। কিন্তু প্রথম থেকে এখন পর্যন্ত চীনের সবচেয়ে বড় জ্বালানীর উৎস হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্য। মধ্যপ্রাচ্যের হরমুজ প্রণালী এবং গালফ অব ইডেন থেকে প্রতিদিন মিলিয়ন মিলিয়ন ব্যারেল জ্বালানী সমুদ্র যাত্রা শুরু করে ভারত মহাসাগের দীর্ঘপথ পাড় হয়ে প্রশান্ত মহাসাগর হয়ে চীনে পৌছায়। এই জ্বালানী পথের মাঝখানে ইন্ডিয়ার দুই দুইটা শক্তিশালী এবং গুরুত্বপূর্ণ নৌ ও বিমানঘাটি আছে। একটা হচ্ছে লক্ষ্ণদ্বীপ দ্বীপপুঞ্জ এবং অপরটি বঙ্গপোসাগরে অবস্থিত আন্দামান নিকোবার দ্বীপপুঞ্জ। চীনের সাথে যুদ্ধাবস্থা তৈরি হলে বা চীনের পক্ষ থেকে স্থলভাগে কোন হুমকির সম্মুখিন হলে মধ্যপ্রাচ্য থেকে চীনের জ্বালানী পথ বন্ধ করে দেয়ার ক্ষমতা রাখে ইন্ডিয়া। আর এইখানেই ইন্ডিয়া এবং গোটা দক্ষিন এশিয়ার রাজনৈতিক গুরুত্ব বেরে গেছে আমেরিকার কাছে।
ভারতের তাজিকিস্তানে বিমান ঘাটি বানানো যা চিনকে পশ্চিম দিক থেকে চাপে রাখবে। তেমনি আপর দিকে চিনও পাল্টা শ্রীলাঙ্কার কলম্বতে বন্দর বানানোর কাজ করছে। ভারতের সাথে রাশিয়ার খুব ভালো সম্পর্ক, যা চিন কে উত্তর দিক থেকে চাপে রাখবে। এক কথাই ভারত কে কেউ আক্রমন করলে ভারতের পাশে দাঁড়াবে।
চিন যেমন ভারতের পশ্চিমবঙ্গে গোর্খাদের কে উত্তেজিতো করে আলাদা গোর্খাল্যান্ড রাজ্যের দাবিতে আন্দোলন করিয়েছে। তেমনি ভারতও একটা ভালো চাল চলেছে তিব্বতিদের উত্তেজিতো করে । যেখানে গোর্খারা আলাদা রাজ্যের দাবি করে ছিলো, কিন্তু তিব্বতিরা তো আলাদা দেশ চাইছে। (আরও জানতে তিব্বতের রাজনৈতিক পরিস্থিতি (please visit) )।
চিন যেমন ভারতের পশ্চিমবঙ্গে গোর্খাদের কে উত্তেজিতো করে আলাদা গোর্খাল্যান্ড রাজ্যের দাবিতে আন্দোলন করিয়েছে। তেমনি ভারতও একটা ভালো চাল চলেছে তিব্বতিদের উত্তেজিতো করে । যেখানে গোর্খারা আলাদা রাজ্যের দাবি করে ছিলো, কিন্তু তিব্বতিরা তো আলাদা দেশ চাইছে। (আরও জানতে তিব্বতের রাজনৈতিক পরিস্থিতি (please visit) )।
অন্য দিকে পাকিস্তান কাশ্মীর নিজের দখলে নেবার জন্য ইসলামিস্ট জঙ্গীদের অস্ত্র ও অর্থ দিয়ে সহায়তা করে। কিন্তু ভারতীয় আর্মি সব-সময় পাহারা দিতে ব্যস্ত।
পাকিস্তান ইসলামিস্ট জঙ্গীদের অস্ত্র ও অর্থ দিয়ে সহায়তা করে মূম্বাই -এ হামলা করিয়েছে (যা সাধারণত ছাব্বিশে নভেম্বর বা ২৬/১১ নামে পরিচিত) । ২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর থেকে ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত এই হামলা চলে। ঘটনায় ১৬৪ জন নিহত ও কমপক্ষে ৩০৮ জন আহত হন আটটি হামলা ঘটে দক্ষিণ মুম্বইয়ে। জায়গাগুলি হল ছত্রপতি শিবাজী টার্মিনাস, ওবেরয় ট্রাইডেন্ট, the Taj Mahal Palace & Tower, লিওপোল্ড ক্যাফে,কামা হাসপাতাল (মহিলা ও শিশুদের হাসপাতাল), নরিম্যান হাইস ইহুদি কমিউনিটি সেন্টার, মেট্রো অ্যাডল্যাবস, এবং টাইমস অফ ইন্ডিয়া ভবন ওসেন্ট জেভিয়ার্স কলেজের পিছনের একটি গলি। এছাড়া মুম্বইয়ের বন্দর এলাকার মাজাগাঁও ও ভিলে পার্লের একটি ট্যাক্সির মধ্যেও বিস্ফোরণ ঘটে।
তেমনি ভারতের 'র'-এর মদতে ২০১১ সালে পাকিস্তানের মেহেরান নৌ ঘাঁটিতে হামলা চালিয়ে তিনটি অত্যাধুনি আর্লি ওয়ার্নিং রাডারযুক্ত পাকিস্তানের একমাত্র আর্লি ওয়ার্নিং বিমান স্কোয়াড্রন ধংস করে।
সীমান্ত নিরাপত্তায় এবার স্যাটেলাইট বসাচ্ছে ভারত
সীমান্তে নজরাদারির জন্য ভারত এবার সর্বাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করতে যাচ্ছে। এজন্য আমাদের বর্ডার স্পেস কমান্ড বা মহাকাশভিত্তিক সীমান্ত প্রতিরক্ষা কেন্দ্র স্থাপনের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। প্রতিবেশী বাংলাদেশ, চীন, পাকিস্তান, নেপাল ও মিয়ানমারের সঙ্গে থাকা প্রায় ১৫ হাজার কিলোমিটারব্যাপী বিশাল সীমান্ত রক্ষায় ভারত এ পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র। এছাড়া ভারত সরকার এ লক্ষ্যে ইলেক্ট্রনিক্স নজরদারি সামগ্রী যেমন নাইটভিশন যন্ত্র রাডার এবং উচ্চ প্রযুক্তির টেলিস্কোপ ও সেন্সরসহ আরও অন্যান্য অনেক কিছু কেনার পরিকল্পনা করছে।এ খাতে পরবর্তী ৫ বছরে দুইশ কোটি ডলার খরচ করার বিষয়টি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় এ মাসে চূড়ান্ত করেছে বলে জানা গেছে। এছাড়া ভারত চলতি বছর ইসরায়েলে একটি দল পাঠাচ্ছে। তারা গাজা ও পশ্চিমতীর বরাবর সীমান্ত সুরক্ষার জন্য ইসরায়েল সীমান্তে গৃহীত ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ করে আসবে, যাতে দিল্লি এটি বাস্তাবয়ন করতে পারে। দিল্লি প্রথম ১৯৮৬ সালে সীমান্তে বেড়া দেওয়ার কাজ শুরু করে। এ পর্যন্ত মাত্র ৪০ শতাংশে বেড়া দেওয়া সম্ভব হয়েছে।
ইতিমধ্যে ভারত দেশের পশ্চিম উপকূলে কর্ণাটকের কারওয়রে নৌবাহিনীর ঘাঁটির তৃতীয় দফায় নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করার জন্য ২২০ কোটি ডলার আলাদা করে দিতে। এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে পাকিস্তানের গদার গভীর সমুদ্রের বন্দর চিনের নৌবাহিনীর সম্ভাব্য ব্যবহারের সংবাদ প্রকাশের পরিপ্রেক্ষিতে। গাদ্বার বন্দরের (চিন এই গভীর সামুদ্রিক বন্দরটি তৈরী করায় সহায়তা করেছে প্রায় ২০ কোটি ডলার অর্থ দিয়ে) স্ট্র্যাটেজিক অবস্থানের মূল কারণ চিন ও পাকিস্তানের মজবুত সম্পর্কও কারণ, এখন তার উপরে সামরিক উদ্দেশ্য যথেষ্ট বাস্তব। নিকট প্রাচ্যের সঙ্কট ও আরব দেশগুলিতে নেতৃত্বের পতন এই অঞ্চলে আঞ্চলিক সামগ্রিক বিশ্বের শক্তির ভারসাম্যে পরিবর্তন করেছে। চিনে খনিজ তেল নিয়ে যাওয়ার পথ, যা বর্তমানে চিনের জন্য প্রধান জ্বালানী উত্স, এর উপরে রয়েছে আঘাতের সম্ভাবনা. চিনের জ্বালানী নিরাপত্তাও বিপদ সঙ্কেত পেয়েছে, তাই গাদ্বারা বন্দরের নিয়ন্ত্রণ ও সব মিলিয়ে ভারত মহাসাগর দিয়ে যাওয়া সামুদ্রিক পথের উপরে নিয়ন্ত্রণ চিনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
এ রকম অনেক ঠাণ্ডা সংঘর্ষ প্রতিনিয়তই চলছে।
যুক্তরাষ্ট্র ইন্ডিয়াকে পরমানু শক্তিধর রাষ্ট্র হিসাবে স্বিকৃতী দেয়ার পর ২০০৭ সালে দুই দেশের মাঝে একের পর এক প্রতিরক্ষা চুক্তি সাক্ষরিত হয়। গত পাঁচ বছরে ইন্ডিয়ার কাছে ৮ বিলিয়ন ডলারএর যুদ্ধাস্ত্র বিক্রি করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। গত সাত বছরে ইন্ডিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র অংশ গ্রহন করেছে ৫০টির বেশি যৌথ সামরিক অভিযানে। এসব যৌথ অভিযানএর বেশিরভাগই দুই দেশের নৌ বাহিনীর মাঝে সীমাবদ্ধ।
কিন্তু ভারত তার বেশীর ভাগ সামরিক যুদ্ধাস্ত্র ক্রয় করেছে রাশয়ার কাছ থেকে । বলা ভালো ভারত সামরিক বাহিনি সজিয়েছে রাশিয়ার তৈরী যুদ্ধাস্ত্রে(সব বিভাগেই- বিমান, আস্ত্র, ভারতের নৌবাহিনীতে পারমানবিক ডুবোজাহাজের সংযোজন- সবই)।
এবার আসি আসল কথায়, আমাদের একনং শত্রু চীন এই পরিস্থিতিতে ভারতকে বেক্যায়দাতে ফেলছে কিভাবে?
চিন ও ভারতের মধ্যে সামুদ্রিক সামরিক প্রতিযোগিতা এক নূতন স্তরে উপনীত হতে চলেছে আরও এই কারণে যে, দুই দেশই নিজেদের সামরিক নৌবহর আধুনিকীকরণ করছে সক্রিয় ভাবে। চিন ভারত মহাসাগর নিয়ে এক সুদূর প্রসারী ও উচ্চাকাঙ্খী স্ট্র্যাটেজি নিয়েছে যা "মুক্তা মালা" বা 'স্ট্রিং অব পার্লস' নামে পরিচিত। চিন বন্দর নির্মাণ ও অন্যান্য স্ট্র্যাটেজিক পরিকাঠামো তৈরী করাছে মৈত্রী ভাবাপন্ন দেশগুলো যেমন- পাকিস্তান, বাংলাদেশ, মায়ানমার ও শ্রীলঙ্কা। যাতে ভারত তথা আরব সাগর ও বঙ্গোপোসাগরে নিজের জোর ধরে রাখা; এক কথায় স্ট্রিং অব পার্লস নামক স্ট্যাটিজির মাধ্যমে নৌ পথে ভারতকে ঘেরাও করে রেখে যে কোন সময়ে পরাস্ত করা।
Add caption |
চীন যেভাবে মোকাবেলা করছে তাতে বাংলাদেশের ও মাওনমারের ভৌগলিক গুরুত্ব বেড়ে গেছে। তবে আমি মনেকরি চট্টগ্রাম বন্দর আর সেন্ট মার্টিন্স দ্বীপের অধিকার বাংলাদেশকে এই মহাখেলায় জড়িয়েছে।
সেন্ট মার্টিন্স দ্বীপ বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরের উত্তর-পূর্বাংশে অবস্থিত একটি প্রবাল দ্বীপ। এটি কক্সবাজার জেলার টেকনাফ হতে প্রায় ৯ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং মায়ানমার-এর উপকূল হতে ৮ কিলোমিটার পশ্চিমে নাফ নদীর মোহনায় অবস্থিত। সেন্ট মার্টিন্স দ্বীপের আয়তন প্রায় ৮ বর্গ কিলোমিটার ও উত্তর-দক্ষিণে লম্বা।
এখনো বঙ্গপোসাগরএর বড় অংশেই অনুসন্ধান সম্পন্ন হয়নাই। বেশ কিছু গ্যাস ব্লক পাওয়া গেছে, তেল পাওয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা আছে। সাইনো-বার্মান পাইপলাইনের মাধ্যমে শুধু বঙ্গপোসাগরএর জ্বালানী সম্পদএ চীনএর নিয়ন্ত্রন প্রতিষ্ঠার বড় ধরণের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে তাই না, তেলএর পাইপলাইনএর কারনে মধ্যপ্রাচ্য এবং আফ্রিকা থেকে চীনএ জ্বালানী পৌছানোর সময় এবং অর্থ এই দুইএরই ব্যাপক সংকুলান হবে। আগেই বলেছ, চীনকে এখন মধ্যপ্রাচ্য থেকে ভারত সাগর হয়ে আন্দামান দ্বীপপুঞ্জের পরে মালাগা প্রনালী পার হয়ে দক্ষিন চীন সাগরএর মধ্য দিয়ে প্রশান্ত মহাসাগরে ঢুকতে হয়, তারপরেই জ্বালানী চীনের স্থলভাগে পৌছাতে পারে। কিন্তু এই পাইপলাইন চালু হলে বঙ্গপোসাগর পর্যন্তই হবে চীনা জ্বালানী বহনকারী জাহাজগুলার যাত্রা। বঙ্গপোসাগর থেকে পাইপলাইনে তেল চলে যাবে সরাসরি চীনে। ফলে সময় বাচবে, অর্থ সংকুলান হবে, আবার মালাগা প্রণালী পাড় হতে না হওয়ায় আন্দামান নিকোবার দ্বীপপুঞ্জে অবস্থিত ইন্ডিয়ার সামরিক ঘাটি তার পথরোধ করতেও পারবেনা। আবার এই পাইপলাইনএর নিরাপত্তার খাতিরে মায়ানমার ও বঙ্গপোসাগরএ সামরিক উপস্থিতি তৈরি করার অযুহাত পাবে চীন। সবমিলিয়ে এই একটা পাইপলাইন মার্কিন-ভারত উইংএর তৎপরতার বিরুদ্ধে চীনএর অবস্থানটা অনেক শক্তিশালী করে তুলবে।
আবার দক্ষিণ চিন সাগর নিয়েও ভারতকে কার্যত হুঁশিয়ারি দেয় চিন। এলাকাটিকে বিতর্কিত আখ্যা দিয়ে বেজিং স্পষ্ট জানিয়েছে, দিল্লি যেন কোনও ভাবেই ওই এলাকায় তেলের অনুসন্ধান না করে। এই ব্যপারে চিনের বিদেশ মন্ত্রকের এশিয়া বিভাগের ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল সান উইডং এক দল ভারতীয় সাংবাদিককে বলেছিলেন, “জায়গাটা বিতর্কিত। তাই আমাদের মনে হয় না যে, ওখানে তেলের খোঁজ করাটা ভারতের পক্ষে ভাল হবে।” দক্ষিণ চিন সাগরের ওই বিতর্কিত এলাকাটি ভিয়েতনামের অংশ। গোটা এলাকাটিই তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাসে সমৃদ্ধ। চিন মনে করে, সেখানকার শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে ভারতের উচিত সেখানে তেলের খোঁজ বন্ধ রাখা। এ বিষয়ে সান আরও বলেছেন, “আমরা দক্ষিণ চিন সাগরের ওই এলাকার সার্বিক উন্নয়ন চাই।” ভারতীয় সাংবাদিকরা সানকে প্রশ্ন করেছিলেন, “চিন এক দিকে ভারতকে হুঁশিয়ারি দিচ্ছে। অন্য দিকে বেশ কিছু চিনা সংস্থা পাক অধিকৃত কাশ্মীরে পরিকাঠামোগত প্রকল্পের কাজ চালাচ্ছে। এই দু’টো কি পরস্পর বিরোধী নয়?” সান শুধু জানিয়েছেন, দু’টো সম্পূর্ণ আলাদা বিষয়।
বেজিং-এর এই মন্তব্যের জবাবে প্রাপতন বিদেশমন্ত্রী এস এম কৃষ্ণ বেঙ্গালুরুতে স্পষ্ট ভাষায় জানালেন, কে কি বলল কিছুই এসে যায় না। সবারই জেনে রাখা ভাল দক্ষিণ চিন সাগর ও তার তলায় থাকা সম্পদ গোটা বিশ্বের সম্পত্তি। তাতে গোটা বিশ্বের অধিকার আছে। তাছাড়া দক্ষিণ চিন সাগরের নৌবাণিজ্য পথে সব দেশেরই সমান অধিকার রয়েছে। জায়গাটি কোনও দেশের একক সম্পত্তি নয়। কোনও দেশের হস্তক্ষেপ করাটাও উচিত নয়। কারণ, গোটা এলাকাটি আন্তর্জাতিক জলসীমায় রয়েছে। ভারত ওখানে যা করছে তা আন্তর্জাতিক আইন মেনেই করছে।
এস এম কৃষ্ণর এই বিবৃতিতে চটেছে বেজিং। তবে তারা কোনও সরকারি বক্তব্য জানায়নি। কৃষ্ণ জানিয়েছেন, দক্ষিণ চিন সাগরের বাণিজ্য পথ ও সম্পদ নিয়ে তো আসিয়ান গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির সঙ্গে চুক্তি ও শান্তিপূর্ণ বোঝাপড়া হয়েছে চিনের। ভারত তো আসিয়ানের সদস্য হিসেবে তার অংশীদার মাত্র। আসিয়ান ভুক্ত অন্য দেশগুলি যা করছে ভারত তাই করছে। এর মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির কোনও অবকাশ নেই। তাছাড়া মুক্ত বাণিজ্যকে এখন সব দেশ অগ্রাধিকার দিচ্ছে তাই আন্তর্জাতিক জলসীমায় কোনও সমুদ্রপথ নিয়ে একক হস্তক্ষেপ গ্রাহ্য করা হবে না।কৃষ্ণ এদিন সাফ জানান, চিনের সঙ্গে আমাদের তরফ থেকে কোনও সঙ্ঘাত নেই। ব্রিকস গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির শীর্ষ সম্মেলন উপলক্ষে চিনের প্রেসিডেন্ট হু জিন্টাও যখন দিল্লি এসেছিলেন তখন যথেষ্ট সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ আলোচনা হয়েছে। দ্বিপাক্ষিক অনেক বিষয়েই তিনি একমত হয়েছেন।
কিন্তু দক্ষিণ চিন সাগরে ভারতের খনিজ তেল উত্তোলক সংস্থা ওএনজিসি বিদেশ শাখা যে তৎপরতা ও তেল অনুসন্ধান চালাচ্ছে সেখান থেকে পিছিয়ে আসার কোনও প্রশ্ন নেই।ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ভিয়েতনাম ও ফিলিপাইন্সের মতো আসিয়ান ভুক্ত দেশগুলির সঙ্গে জলসীমা ও সমুদ্রসম্পদ নিয়ে চিনের বিরোধ সুবিদিত। সম্প্রতি এই বিরোধ চরম আকার নেওয়ায় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলিতে শুরু হয় প্রবল চিন বিরোধী বিক্ষোভ। তাতে সমর্থন জানায় জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়াও। এই অবস্থায় বেজিং অনেক আগেই অভিযোগ করেছিল, দক্ষিণ চিন সাগরে আধিপত্য কায়েম করার জন্য ও সেখানকার তেল সম্পদের উপর কব্জা করতে ভারত আসিয়ান গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলি সহ জাপান ও কোরিয়াকে নিয়ে একটা চিন বিরোধী ব্লক তৈরি করতে চাইছে। এ নিয়েও চিনা কূটনীতিকরা সদ্য ভারতে এসে ভারতকে সতর্ক করে দিয়ে যান। যদিও নয়াদিল্লি কোনও ধীরে চলো নীতি তো নেইনি। উলটে ভারত সাফ জানায়, চিন সাগরে বহুজাতিক তেল সংস্থাগুলির সঙ্গে ওএনজিসি নিজের মতোই কাজ করে যাবে। ওখানে ভারত কোনও বেআইনি কাজ করছে না।এই ইস্যুতে ভারত পুরোপুরি পাশে পেয়ে গিয়েছে কট্টর চিন বিদ্বেষী ভিয়েতনাম, তাইওয়ান, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, মালয়েশিয়া এবং কাম্বোডিয়াকে। আর্থিক ও বাণিজ্যিকভাবে ওই দেশগুলি গত এক দশকে চিনের দিক থেকে বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। তাই দুনিয়ার সবচেয়ে শক্তিশালী দেশের সামগ্রিক আগ্রাসন রুখতে ভারত যতটা তাদের পাশে চায়, একইভাবে তারাও চায় ভারতের মতো আর্থিক ও সামরিক শক্তিসম্পন্ন দেশ তাদের পাশেও থাকুক।
বর্তমান প্রেক্ষাপটঃ-
প্রথমে ভারতের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের আশা ও মনোভাব সম্পর্কে কিছু বলি । চীনের উত্থান, এককালীন বৈরী দুই দেশ ভারত-যুক্তরাষ্ট্র নিজেদের পরস্পরের স্বার্থে একে অপরের প্রতি বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে । সন্দেহ নেই যুক্তরাষ্ট্র-ভারতের সম্পর্ক ইতিহাসের সবচেয়ে ভাল সময় অত্রিক্রম করতেছে তারপরও ভারত, যুক্তরাষ্ট্রকে নানা ভাবে হতাশ করেছে । যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বেশী হতাশার বিষয় হচ্ছে ভারতের অস্ত্রের বাজার রাশিয়ার কাছ থেকে দখল না নিতে পারা, ভারত এখনো রাশিয়ার সাথে তার পুরানো দীর্ঘ দিনের আস্থা ও বিশ্বাসের সম্পর্ক আগের মতই অটুট রেখেছে। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র, ভারত-ইরান সম্পর্ক নিয়ে ভারতের আচরণে চরম হতাশ হয়েছে। এমনকি যুক্তরাষ্ট্র ভাল করে উপলদ্ধি করছে যে, ভারত কারো বিরুদ্ধে কখনো শুধু মাত্র যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থের জন্য ব্যবহৃত হতে রাজি নয়।
তবে আমি বলবো কোনো দেশের আশাই বসে না থেকে আমাদের প্রতেক বিষয়ে স্বনির্ভর হতে হবে। ভিত্তি তৈরী হয়েছে, এবারে গঠন করতে হবে শক্তিশালী ও সমৃদ্ধ ভারত। লড়াই করতে হবে দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও অনিয়মের বিরুদ্ধে।
জয় হিন্দ। মেরা হিন্দুস্তান মহান ।
প্রশ্ন হল এই এশিয়ার এই ঠাণ্ডা লড়াই শেষ কোথায়? তবে ভারত-চিন উভয়ই জুজুধান দুপক্ষ মনে হয়না এই স্নায়ুর লড়াই এশিয়াতেই সীমাবদ্ধ থাকবে... গোটা বিশ্ব জড়িয়ে পড়াটা শুধুই সময়ের অপেক্ষা! সময়-ই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দেবে এই বলে এখানেই শেষ করছি! আর নজর রাখছি...
.......................................^^^^^^^^^^^^^^^^.....................................
তথা সূত্র- ইন্টারনেট, বিভিন্ন ওয়েবসাইট।
No comments:
Post a Comment