Monday, 17 December 2012

প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংগঠন বা ডিআরডিও



      প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংগঠন (ইংরেজি:- Defence Research and Development Organisation , হিন্দি:- रक्षा अनुसंधान एवं विकास संघठन) বা ডিআরডিও এশিয়ার বৃহত্তম প্রতিরক্ষা কন্ট্র্যাক্টরগুলির অন্যতম এবং একটি অন্যতম প্রধান বিমান প্রস্তুতকারক সংস্থা। ভারতের নয়াদিল্লিতে এই সংস্থার সদর কার্যালয় অবস্থিত। ১৯৫৮ সালে প্রযুক্তি উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান (টেকনিক্যাল ডেভেলপমেন্ট এস্ট্যাবলিশমেন্ট) ও প্রযুক্তি উন্নয়ন ও উৎপাদন অধিকরণের (ডাইরেক্টরয়েট অফ টেকলিক্যাল ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড প্রোডাকশন সঙ্গে প্রতিরক্ষা বিজ্ঞান সংগঠনের (ডিফেন্স সায়েন্স অর্গ্যানাইজেশন) সংযুক্তির মাধ্যমে এই সংস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়।

    ৫১টি ল্যাবরেটরির মাধ্যমে ডিআরডিও-র নেটওয়ার্ক প্রসারিত। এই ল্যাবরেটরিগুলির দ্বারা সংস্থা বিভিন্ন ক্ষেত্র যেমন এয়ারোনটিক, অস্ত্রশস্ত্র, ইলেকট্রনিক ও কম্পিউটার সায়েন্স, মানবসম্পদ উন্নয়ন, জীবন বিজ্ঞান, সামগ্রী, মিশাইল, যুদ্ধযান উন্নয়ন ও নৌগবেষণা ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে প্রতিরক্ষা প্রযুক্তিকে উন্নততর করে তোলার কাজে রত। এর মূল দর্শন হচ্ছে, ভারতের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে স্বনির্ভর করে তোলা। এক কথাই ভারতের প্রযুক্তিবিদ্যা কে উন্নত থেকে উন্নততর করে সবার থেকে ভারতকে এক কদম এগিয়ে রাখার মরিয়া চেষ্টা করে এই সংস্থাটি। এই সংস্থায় ৭৪০০ জনেরও বেশি বৈজ্ঞানিক ও প্রায় ২৫,০০০ বিজ্ঞান, প্রযুক্তিগত ও সহায়তাকারী কর্মচারী নিযুক্ত। 


Monday, 26 November 2012

ঘাঁটির লড়াই ---(পার্ট--১)

     আজ 2012 এর শেষ লগ্নে দাঁড়িয়ে গোটা পৃথিবী; আসছে নতুন বছর 2013; অস্তিত্ব সংকটের মুখোমুখি ভারত। এক অপার সম্ভাবনা জাগিয়ে তোলা বিশ্বের সর্ববৃহৎ গনতান্ত্রিক রাষ্ট্রটি আরো একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রের তালিকায় নাম লেখাবে, এই কি আমাদের শেষ পরিনিতি...? 200 বছর সুলতানি, 300 বছর মুঘল, 200 বছর ইংরেজদের কাছে গোলামি থাকাকালীন অজস্র প্রাণের বিনিময়ে প্রাপ্ত স্বাধীনতা... সেটাও কি বিফলে যাবে? যেটা যেকোন ভারতীয়র কাছেই কঠিন চিন্তার বিষয়। আসলে আবেগ দিয়ে স্মৃতি চারণ করা যায়, কিন্তু স্মৃতিকে রক্ষা করা তো যায় না। কারণ ভারতীয়দের আবেগ বড্ড বেশি!

    আমাদের বিগত ২০১০ সাল থেকে একের পর এক সমস্যা, ঘাটতি, রাজনৈতিক অস্থিরতা, দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও অগণিত অনিয়ম; যার ফলে উন্নয়নের নিম্নমুখি ভারত। দেশের আনাচে কানাচে অনেক অনিয়ম-বিশৃঙ্খলা। এরকম অনেক ইস্যুতেই আজ আমাদের নজর দেওয়া প্রয়োজন। ভারতের অর্থনীতি থেকে সামরিক কাঠামো সবই নিম্নমুখি, কিন্তু প্রতিবেশী রাষ্ট্র চিন, যে প্রতিনিয়ত ভারত তথা গোটা বিশ্বকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ছে। ফলে শুরু হয়েছে ঘাঁটির লড়াই। যাকে এশিয়ার ঠাণ্ডা লড়াই বলা যেতে পারে।

      রাষ্ট্র একটা বৃহৎ সংসারের মত। এখানে নিত্য দিনের চাহিদার পাশাপাশি আপনাকে আপনার ঘরও মজবুত করতে হবে। আর এই বিশ্বে তা করতে হলে এখন ট্যাঙ্ক, বারুদ, পারমাণবিক প্রযুক্তি, জাহাজ, বিমানের সাথে সাথে পজিশেনও ঠিক করতে হবে। আর এখানে বলা ভালো কিছু জিনিস, যেমন সামরিক বাহিনী, বিদেশনীতি, সামরিক বাহিনীর পরিক্ষাঠামো বা সরঞ্জাম, আমদানি, রপতানি  ইত্যাদি বিষয়ে  প্রতিবেশি রাষ্ট্রগুলোর নীতি ও সম্পর্ক এর উপর নির্ভরশীল।

    ইউরোপ-আমেরিকা-সাবেক সোভিয়েত থেকে ধীরে ধীরে সরে এসে এশিয়া কিভাবে এই আন্তর্জাতিক ঘাঁটির লড়াই-এর ময়দান হয়ে উঠছে সে বিষয়ে কয়েকটি কথা তুলে ধরবো।

যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে --- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

যদি তোর       ডাক শুনে কেউ না আসে       তবে       একলা চলো রে।
একলা চলো,       একলা চলো,       একলা চলো,       একলা চলো রে॥
যদি       কেউ কথা না কয়,       ওরে ওরে ও অভাগা,
যদি       সবাই থাকে মুখ ফিরায়ে       সবাই করে ভয়—
                   তবে        পরান খুলে
ও তুই       মুখ ফুটে তোর মনের কথা        একলা বলো রে॥
যদি        সবাই ফিরে যায়      , ওরে ওরে ও অভাগা,
যদি        গহন পথে যাবার কালে কেউ ফিরে না চায়—
                   তবে        পথের কাঁটা
ও তুই       রক্তমাখা চরণতলে        একলা দলো রে॥
যদি        আলো না ধরে,       ওরে ওরে ও অভাগা,
যদি        ঝড়-বাদলে আঁধার রাতে        দুয়ার দেয় ঘরে—
                   তবে        বজ্রানলে
আপন        বুকের পাঁজর জ্বালিয়ে নিয়ে        একলা জ্বলো রে॥

আমার কলমে

আমার সম্পর্কে বলার মতো তেমন কিছুই নেই। সাধারন মানের একজন নিরীহ গোছের ছেলে আমি। ঠিক কাজের থেকে ভুল করি বেশি! আমার ভুল হয়েছে মনে হলে স্বীকারও করি। নিজের দুর্বলতা ঢাকার চেষ্টা করি না খুব একটা। আমি যেমন সেই রকম থাকতেই পছন্দ করি।

     আর হ্যাঁ আমি স্বাধীন দেশের স্বাধীন নাগরিক। মনে হয় না আমার এর থেকে বেশী কিছু চাওয়ার আছে। সপ্ন দেখতে ভালবাসি। আমি মানুষটা ছোট কিন্তু সপ্ন দেখি অনেক বড় বড়!!! বিরুদ্ধ মতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল কিন্তু ভন্ডামি আমার একেবারেই সহ্য হয় না।

    ভালোবাসি বন্ধুত্ব করতে, আড্ডা দিতে, সুপারন্যাচারাল বিষয়গুলো নিয়ে পড়তে, প্রচুর মুভি দেখতে, নিজে সবসময় হাসিখুশি থাকতে এবং মানুষকে হাসিখুশি দেখতে। শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, রবি ঠাকুর, বিদেশি উপন্যাসের বাংলা অনুবাদের বই গুলো পড়তে ভালোই লাগে। আমি মুভি দেখিও প্রচুর কিন্তু লো মেমোরির কারনে মুভি গুলোর নাম মনেই থাকে না!

   প্রতিদিন আমি মৃত্যুর জন্য অপেক্ষা করি। তবে এই জীবনটাকে উপভোগ করি। কারন এক একটা দিন কমে যাচ্ছে জীবন থেকে। চলার পথ অনেক, সত্য পথতো একটাই। জীবনযুদ্ধ করতে করতে অনেকে হতাশ হয়ে পড়ে, আমি ইনজয় করি। আমার কাছে এটাই জীবন।

আর যখন সাফল্য আসবে, তাকে উপভোগ করো, কিন্তু এটাও খেয়াল রেখো, তুমি ঠিক পথেই এগিয়ে যাচ্ছ কি না। যতই বড় হও না কেন, মনে রেখো সবকিছুরই একটা শেষ আছে। সবচেয়ে উজ্জ্বল নক্ষত্রটিও জ্বলতে জ্বলতে একদিন নিভে যাবেই। তাই ব্যর্থতার জন্য প্রস্তুত থেকে সাফল্যকে উদ্যাপন করো। 

কস্ট পেলে কাঁদি, আনন্দে হাঁসি। এই তো আমি!