মায়ানমার (বর্মী ভাষায়: মিয়ামা, প্রাক্তন নাম বার্মা, প্রাচীন নাম ব্রহ্মদেশ) দক্ষিণ এশিয়ার একটি রাষ্ট্র। মায়ানমারের রাজধানী নেপিদ (নেপ্য়িদ আইপিএ: [nèpjìdɔ̀])।
তৎকালীন বার্মার গণতান্ত্রিক সরকারের উৎখাতের পর সেখানকার সামরিক সরকার বার্মার নতুন নামকরণ করে "মায়ানমার" এবং প্রধান শহর ও তৎকালীন রাজধানী রেঙ্গুনের নতুন নাম হয় "ইয়াঙ্গুন"। তবে গণতান্ত্রিক দলগুলোর অনেক অনুসারীই এই নামকরণের বিপক্ষে। ২১ অক্টোবর ২০১০ থেকে দেশটির সরকারী নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় রিপাবলিক অব দ্য ইউনিয়ন অব মায়ানমার।
চীনের সাথে সম্পর্ক
মায়ানমার ও চায়না পরস্পরকে “সহদোর” হিসাবে সম্বোধন করে যা থেকে তাদের সম্পর্কের ঘনিষ্ঠতা অনুমান করা যায়। আর মায়ানমারের দিক থেকে ঐতিহাসিকভাবেই চীন তার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী কারণ চীনের সাথে তার ১৩৪৮ মাইলের এক বিশাল সীমান্ত রযেছে।
১৯৪৯ সালে চীনের কমিউনিস্ট পার্টি ক্ষমতায় আসার পর থেকে ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত চীনের সঙ্গে বৈরী সম্পর্ক ছিল মায়ানমারের। মায়ানমারের অভ্যন্তরে বিদ্রোহী কমিউনিস্ট পার্টি অব বার্মা (সিপিবি)-এর মূল পৃষ্ঠপোষক ছিল চীন। ১৯৭৮ সালে চীনা নেতা দেং জিয়াও পেং মায়ানমার সফরে আসেন। ১৯৮৬ তে সিপিবির ওপর থেকে সম্পূর্ণ সমর্থন তুলে নেয় চীন। বৈরী সম্পর্ক দারুণভাবে সহযোগিতার দিকে নতুন মোড় নেয়। তারা তেল-গ্যাস, খনিজ সম্পদসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিনিয়োগসহ বাণিজ্যিক সুবিধা পায়। এ সময় চীন সামরিকভাবে মায়ানমারকে সহায়তা করতে থাকে।
১৯৮৯ সালে মায়ানমার চীন হতে ১.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম ক্রয় করে।ভারতের ওপর ভূরাজনৈতিক কৌশলগত সুবিধা বাড়াতে মায়ানমারের সঙ্গে সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হয় চীনের। মায়ানমারের অভ্যন্তরে জাতিগত বিদ্রোহ, বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন দমনে মায়ানমারকে বহুমুখী সাহায্যের হাত খুলে দেয় চীন। চীনের সমর্থন মায়ানমারের সামরিক জান্তাকে অধিকতর শক্তিশালী করে। তারা এই সুযোগকে ব্যবহার করে দেশের মধ্যে যেমন তাদের ক্ষমতা বাড়ায়, তেমনি একটি শক্তিশালী সমরশক্তির দেশ হিসেবে গড়ে উঠতে চীনের সর্বোচ্চ সহায়তা পেতে থাকে।
তবে মনমোহন সিংহের ‘পুবে তাকাও’ নীতির সফল রূপায়ণের সূচনা হয়েছে ২৮ মে ২০১২ থেকে। দীর্ঘ ২৫ বছর পর মায়ানমারের মাটিতে পা রেখেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ। আর সেদিনই ভারত-মায়ানমার দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতায় নতুন যাত্রা শুরু হয়। তার সূত্র ধরেই মায়ানমারকে ৫০ কোটি ডলার ঋণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে ভারত। এর আগে ২০১০ সালে বাংলাদেশকে ১০০ কোটি ডলার ঋণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ভারত সরকার। সেটা ছিল শেখ হাসিনার ভারত সফর। আর এ বার মায়ানমার সফরে এসে খোদ ভারতের প্রধানমন্ত্রী অর্থ সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। আর তার বদলে পেয়েছেন সীমান্ত এলাকায় জঙ্গি কার্যকলাপ রোধের প্রতিশ্রুতি।
প্রথমেই এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার সঙ্গে মায়ানমারের ফরেন ট্রেড ব্যাঙ্কের একটি ‘মেমোরান্ডাম অফ আন্ডারস্ট্যান্ডিং’ বা (মউ) স্বাক্ষরিত হয়। সেখানেই মায়ানমারকে ৫০ কোটি ডলার ঋণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ভারত।
২০১২, অক্টোবরে মায়ানমারের প্রেসিডেন্ট যখন ভারতে আসেন, তখনই এই বিপুল অর্থ সাহায্যের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। এ ছাড়াও একাধিক ক্ষেত্রে দু’দেশের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। তালিকায় রয়েছে যৌথ বাণিজ্য ও বিনিয়োগের জন্য ফোরাম গঠন, বিমান পরিষেবা,সীমান্ত এলাকা উন্নয়ন ও সীমান্ত বাণিজ্য কেন্দ্র গঠনের চুক্তিও। শিক্ষা ক্ষেত্রেও একে অপরকে সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে দু’দেশ। কৌশলগত ভাবে মায়ানমারকে পাশে পাওয়াটা ভারতের পক্ষে খুবই জরুরি। এত দিন ধরে মায়ানমারকে উপেক্ষা করার ফল এখন ভালমতোই টের পাচ্ছে নয়াদিল্লি। কারণ প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর এই দেশের উপর চিনের নজর বহু দিন থেকেই। চিনের সেই আধিপত্যের জায়গাটাকেই এখন দখল করতে চায় ভারত।
মায়ানমারকে পাশে পেলে ভিয়েতনাম পর্যন্ত যোগাযোগের রাস্তাটাও পরিষ্কার হয়ে যাবে বলে মনে করছে ভারতের কূটনৈতিক মহল।
সম্প্রতি ভারতের সাথে ভিয়েতনামের সাউথ চিন সাগরের গ্যাস ব্লক গুলি অনুসন্ধান নিয়ে চুক্তি হয়েছে। আর সেই নিরাপত্তার দিক দিয়েও মায়ানমার গুরুত্বর্পূণ। উত্তর-পূর্বের কিছু জঙ্গি সংগঠনের ঘাঁটি আছে সীমান্ত সংলগ্ন পাহাড়ি জঙ্গলে। ভারত চায় অনুপ্রবেশ ও জঙ্গি দমনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিক থেন সুই সরকার। সে প্রতিশ্রুতিও দিল্লি আজ আদায় করে নিয়েছে মায়ানমারের কাছ থেকে। সন্ত্রাস দমনে দিল্লির সঙ্গে একজোট হয়েই লড়বেন বলে জানিয়েছেন মায়ানমারের প্রেসিডেন্টও।
আর মায়ানমার বলতে গেলে যার কথা না বললে শেষ হয় না, তিনি হলেন দেশের বিরোধী দলনেত্রী তথা ‘গণতান্ত্রিক আন্দোলনের প্রতীক’ 'আউং সাং সু চি' যিনি এখনো নিজের দেশটাকে বর্মা নামেই ডাকেন।
বাণিজ্যনগরীর নাম বলতে গিয়ে রেঙ্গুন-ই বলেন, ইয়াঙ্গন নয়। ভারতের কথা উঠলেই হারিয়ে যান প্রায় পাঁচ দশক আগে দিল্লিতে ফেলে আসা স্কুল-কলেজের জীবনে, যেখানে আজও তাঁর স্মৃতির অনেকটা জুড়ে ‘পণ্ডিতজি’, জওহরলাল নেহরু। যাঁর হাত ধরে দিন বদলের স্বপ্ন দেখছে মায়ানমার। অথচ নোবেলজয়ী সেই স্বপ্নের কাণ্ডারী নিজে বদলাননি একটুও।
মায়ানমারে বিরোধী গণ আন্দোলনে ভারতের সমর্থন পাননি— মুক্তির পর এমন অভিযোগই করেছিলেন আউং সান সু চি।আজ প্রায় সিকি শতাব্দী পর নয়াদিল্লিতে পা রেখে কিন্তু সেই হতাশা অনেকটাই কাটিয়ে উঠলেন ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসির প্রধান এই নেত্রী। সনিয়া গাঁধীর আমন্ত্রণে ভারতে এসে জওহরলাল নেহরু স্মারক বক্তৃতায় ভারত-বন্ধু হিসেবেই নিজেকে তুলে ধরেছেন সু চি। অন্য দিকে মায়ানমারের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে তাঁর সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহও সদর্থক বার্তা দিয়েছেন। আগামী বছর সে দেশে নির্বাচন হওয়ার কথা।
সু চি-র সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, “আমাদের শুভেচ্ছা আপনার সঙ্গে রয়েছে। গণতন্ত্রের জন্য আপনার সংগ্রামের প্রতিও আমাদের শ্রদ্ধা রয়েছে। যে সাহস আপনি দেখিয়েছেন, তা প্রশংসনীয়।” বিদেশ মন্ত্রক সূত্রে বলা হয়েছে, নতুন করে মায়ানমার গড়ে তোলার প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা হয়েছে মনমোহন এবং সু চি-র মধ্যে। তবে তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে সামরিক নেতা থান শোয়ে এবং সু চি দু’জনেরই প্রশংসা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। পরে বিজ্ঞানভবনে বক্তৃতা দেওয়ার সময় সু চি বলেছেন, “ভারত আমাদের কাছ থেকে কতটা দূরে সরে গিয়েছে বা আমরা ভারতের সঙ্গে কতটা দূরত্ব তৈরি করেছি, এ সবের মধ্যে আজ আর আমি যেতে চাই না।
শুধু চাই দু’দেশের মধ্যে যেন চিরস্থায়ী সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সরকার আসবে যাবে। কিন্তু দু’দেশের মানুষের মধ্যে যোগসূত্র যেন দৃঢ় হয়।”সনিয়া গাঁধীও বিজ্ঞান ভবনে তাঁর বক্তৃতায় উষ্ণ অভিনন্দন জানিয়েছেন সু চি কে। বলেছেন, মায়ানমারের এই নেত্রীর স্থান ‘কোটি কোটি ভারতবাসীর হৃদয়ে’।
প্রথমেই বলি আর পাঁচটা দেশের মতো মায়ানমারের গণতন্ত্র নয়। তাই আউং সাং সু চি কে মায়ানমারের গণতন্ত্রের বীজ শক্ত মাটিটে বপন করতে হবে , যাতে আবার সামরিক সরকার না ফিরে আসে। ২০১৪ তে ভোটের ফলাফলের উপর নির্ভর করছে সব কিছু। তবে সু চি ক্ষমতাই থাকলে আমার মতে ভারতের একটা সুভিধা-ই হবে। কারন চেনা কাছের লোক ক্ষমতাই থাকলে যে কোন চুক্তি বা নীতি গ্রহনে একটা বাড়তি সুভিধা তো থাকবেই। আর দক্ষিণ এশীয়াতে ভারতের আরও একটু বেশি ক্ষমতা বাড়বে।
সম্প্রতি উদ্যোগী হয়েছেন মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী মায়ানমারের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নয়নে।
প্রতিবেশী মায়ানমার থেকে আসা রোগীদের জন্য চিকিত্সা পরিষেবা ও সিজা হাসপাতাল চত্বরে রোগীর আত্মীয়দের থাকার ব্যবস্থা করছে মণিপুর সরকার। মায়ানমারের ছাত্রদের জন্য মেডিক্যালে আসনও সংরক্ষণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। রাজ্যের বিদ্যুত্ সরবরাহ করে তামু শহর আলোকিত করতেও রাজি মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী। পরিবর্তে মায়ানমারের কয়লা কেবল ভারতকে বিক্রির আর্জি জানালেন তিনি।
মায়ানমারের সীমান্তবর্তী বেশ কিছু এলাকার মানুষ চিকিত্সার জন্য মণিপুরের উপরে নির্ভরশীল। এপ্রিল,২০১৩ তে মায়ানমারের ১১ জন প্রতিনিধি মণিপুর সফরে এসেছেন। প্রতিনিধি দলে আছেন সাগাইং অঞ্চলের সাংসদ তথা মায়ানমারের বিদ্যুত্মন্ত্রী ইউ কিয়াওউইন, দুই সাংসদ ও সেদেশের বাণিজ্য মন্ত্রকের আমলারা।
প্রতিনিধিরা লাঙ্গোল এলাকায় সিজা হাসপাতাল ঘুরে দেখেন। হাসপাতালের অধিকর্তা কে পালিন জানান, মায়ানমার থেকে আসা রোগীদের জন্য হাসপাতালে আসন সংরক্ষিত থাকে। রোগীর আত্মীয়দের থাকার জন্য হাসপাতাল চত্বরেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে। মায়ানমারের বিভিন্ন শহরে সিজা হাসপাতালের বারোটি তথ্য কেন্দ্রও খোলা হচ্ছে। পালিন বলেন, “আমরা অদূর ভবিষ্যতে এখানে একটি অক্সিজেন প্ল্যান্টও বানাতে চলেছি। সেখান থেকে উত্তর-পূর্ব ভারত ছাড়াও মায়ানমারে অক্সিজেনের জোগান দেওয়া হবে। কেবল তাই নয়, ভারতের ‘স্মাইন ট্রেন’ প্রকল্পের আদলে মায়ানমারের সাগাইং রাজ্যের মনিওয়া হাসপাতালে বিনামূল্যে কাটা ঠোঁট ও তালু জোড়ার দেওয়ার প্রকল্প হাতে নেওয়া হবে। এ নিয়ে ময়ানমারের সাগাইং-এর মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ইতিমধ্যেই প্রস্তাবপত্র পাঠানো হয়েছে।”
মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী ওক্রাম ইবোবি সিংহ বলেন, “মায়ানমারের মেধাবী ছাত্রদের জন্য মণিপুরের মেডিক্যাল কলেজে আসন সংরক্ষণ করা যেতে পারে।”মনিপুরের প্রধান সচিব ও নবকিশোর বলেন, “চিকিত্সার জন্য মণিপুরে আসা মায়ানমারের নাগরিকদের ভিসা দেওয়ার ব্যাপারটি যাতে দ্রুততার সঙ্গে কার্যকর করা যায় তা রাজ্য সরকার দেখবে।”
মায়ানমারের মন্ত্রী ইউ কিয়াওউইন বলেন, “মায়ানমারবাসীর চিকিত্সার জন্য মণিপুর সরকার ও সিজা হাসপাতাল যে সাহায্য করছেন তার জন্য ধন্যবাদ। মণিপুরের তরফে জমা দেওয়া প্রস্তাবগুলি নিয়ে দেশে ফিরে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
মায়ানমারের প্রতিনিধিরা সীমান্ত শহর তামুর জন্য ২ থেকে ৩ মেগাওয়াট বিদ্যুত্ সরবরাহের আর্জি জানিয়েছে। মণিপুর থেকে বিদ্যুত্ কেনার ব্যাপারে একটি লিখিত প্রস্তাবও তাঁরা জমা দিয়েছেন। মনিপুরের মুখ্যমন্ত্রী ওক্রাম ইবোবি সিংহ জানান, কেন্দ্রের সবুজ সংকেত পেলেই মোরে সাব স্টেশন থেকে তামুতে বিদ্যুত্ পাঠানো যাবে। বর্তমানে তামু শহরে আলো জ্বালাবার জন্য ডিজেল চালিত জেনারেটর ব্যবহার করা হয়। যা অত্যন্ত খরচসাপেক্ষ ও পরিবেশ-বিরোধী। ইউ কিয়াওউইন তামুতে তাপবিদ্যুত্ কেন্দ্র গড়ার জন্য ভারতীয় লগ্নিও আহ্বান করেন।
মনিপুরের মুখ্যমন্ত্রী ওক্রাম ইবোবি সিংহ মায়ানমারের প্রতিনিধিদের আর্জি জানিয়েছেন, দুই দেশের সম্পর্ক আরও মজবুত করতে মালয়শিয়া নয়, কেবল মাত্র ভারতকেই কয়লা বিক্রি করুক মায়ানমার। মণিপুরের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক বৃদ্ধির উদ্দেশে মায়ানমারের তরফে ইম্ফলে একটি কনসুলেট খোলার ব্যাপারেও প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। মনিপুরের শিল্প-বাণিজ্যমন্ত্রী কুংথৌজাম গোবিন্দাস বলেন, “জুলাইয়ে ইম্ফল বিমানবন্দর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের স্বীকৃতি পেতে চলেছে। ভারতের ইম্ফল বিমানবন্দরকে ভিত্তি করে মণিপুর ও মায়ানমারের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও বাড়তে চলেছে।”
--------------------------^^^^^^^^^^^^^---------------------------
তৎকালীন বার্মার গণতান্ত্রিক সরকারের উৎখাতের পর সেখানকার সামরিক সরকার বার্মার নতুন নামকরণ করে "মায়ানমার" এবং প্রধান শহর ও তৎকালীন রাজধানী রেঙ্গুনের নতুন নাম হয় "ইয়াঙ্গুন"। তবে গণতান্ত্রিক দলগুলোর অনেক অনুসারীই এই নামকরণের বিপক্ষে। ২১ অক্টোবর ২০১০ থেকে দেশটির সরকারী নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় রিপাবলিক অব দ্য ইউনিয়ন অব মায়ানমার।
চীনের সাথে সম্পর্ক
মায়ানমার ও চায়না পরস্পরকে “সহদোর” হিসাবে সম্বোধন করে যা থেকে তাদের সম্পর্কের ঘনিষ্ঠতা অনুমান করা যায়। আর মায়ানমারের দিক থেকে ঐতিহাসিকভাবেই চীন তার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী কারণ চীনের সাথে তার ১৩৪৮ মাইলের এক বিশাল সীমান্ত রযেছে।
১৯৪৯ সালে চীনের কমিউনিস্ট পার্টি ক্ষমতায় আসার পর থেকে ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত চীনের সঙ্গে বৈরী সম্পর্ক ছিল মায়ানমারের। মায়ানমারের অভ্যন্তরে বিদ্রোহী কমিউনিস্ট পার্টি অব বার্মা (সিপিবি)-এর মূল পৃষ্ঠপোষক ছিল চীন। ১৯৭৮ সালে চীনা নেতা দেং জিয়াও পেং মায়ানমার সফরে আসেন। ১৯৮৬ তে সিপিবির ওপর থেকে সম্পূর্ণ সমর্থন তুলে নেয় চীন। বৈরী সম্পর্ক দারুণভাবে সহযোগিতার দিকে নতুন মোড় নেয়। তারা তেল-গ্যাস, খনিজ সম্পদসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিনিয়োগসহ বাণিজ্যিক সুবিধা পায়। এ সময় চীন সামরিকভাবে মায়ানমারকে সহায়তা করতে থাকে।
১৯৮৯ সালে মায়ানমার চীন হতে ১.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম ক্রয় করে।ভারতের ওপর ভূরাজনৈতিক কৌশলগত সুবিধা বাড়াতে মায়ানমারের সঙ্গে সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হয় চীনের। মায়ানমারের অভ্যন্তরে জাতিগত বিদ্রোহ, বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন দমনে মায়ানমারকে বহুমুখী সাহায্যের হাত খুলে দেয় চীন। চীনের সমর্থন মায়ানমারের সামরিক জান্তাকে অধিকতর শক্তিশালী করে। তারা এই সুযোগকে ব্যবহার করে দেশের মধ্যে যেমন তাদের ক্ষমতা বাড়ায়, তেমনি একটি শক্তিশালী সমরশক্তির দেশ হিসেবে গড়ে উঠতে চীনের সর্বোচ্চ সহায়তা পেতে থাকে।
তবে মনমোহন সিংহের ‘পুবে তাকাও’ নীতির সফল রূপায়ণের সূচনা হয়েছে ২৮ মে ২০১২ থেকে। দীর্ঘ ২৫ বছর পর মায়ানমারের মাটিতে পা রেখেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ। আর সেদিনই ভারত-মায়ানমার দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতায় নতুন যাত্রা শুরু হয়। তার সূত্র ধরেই মায়ানমারকে ৫০ কোটি ডলার ঋণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে ভারত। এর আগে ২০১০ সালে বাংলাদেশকে ১০০ কোটি ডলার ঋণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ভারত সরকার। সেটা ছিল শেখ হাসিনার ভারত সফর। আর এ বার মায়ানমার সফরে এসে খোদ ভারতের প্রধানমন্ত্রী অর্থ সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। আর তার বদলে পেয়েছেন সীমান্ত এলাকায় জঙ্গি কার্যকলাপ রোধের প্রতিশ্রুতি।
প্রথমেই এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার সঙ্গে মায়ানমারের ফরেন ট্রেড ব্যাঙ্কের একটি ‘মেমোরান্ডাম অফ আন্ডারস্ট্যান্ডিং’ বা (মউ) স্বাক্ষরিত হয়। সেখানেই মায়ানমারকে ৫০ কোটি ডলার ঋণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ভারত।
২০১২, অক্টোবরে মায়ানমারের প্রেসিডেন্ট যখন ভারতে আসেন, তখনই এই বিপুল অর্থ সাহায্যের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। এ ছাড়াও একাধিক ক্ষেত্রে দু’দেশের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। তালিকায় রয়েছে যৌথ বাণিজ্য ও বিনিয়োগের জন্য ফোরাম গঠন, বিমান পরিষেবা,সীমান্ত এলাকা উন্নয়ন ও সীমান্ত বাণিজ্য কেন্দ্র গঠনের চুক্তিও। শিক্ষা ক্ষেত্রেও একে অপরকে সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে দু’দেশ। কৌশলগত ভাবে মায়ানমারকে পাশে পাওয়াটা ভারতের পক্ষে খুবই জরুরি। এত দিন ধরে মায়ানমারকে উপেক্ষা করার ফল এখন ভালমতোই টের পাচ্ছে নয়াদিল্লি। কারণ প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর এই দেশের উপর চিনের নজর বহু দিন থেকেই। চিনের সেই আধিপত্যের জায়গাটাকেই এখন দখল করতে চায় ভারত।
মায়ানমারকে পাশে পেলে ভিয়েতনাম পর্যন্ত যোগাযোগের রাস্তাটাও পরিষ্কার হয়ে যাবে বলে মনে করছে ভারতের কূটনৈতিক মহল।
সম্প্রতি ভারতের সাথে ভিয়েতনামের সাউথ চিন সাগরের গ্যাস ব্লক গুলি অনুসন্ধান নিয়ে চুক্তি হয়েছে। আর সেই নিরাপত্তার দিক দিয়েও মায়ানমার গুরুত্বর্পূণ। উত্তর-পূর্বের কিছু জঙ্গি সংগঠনের ঘাঁটি আছে সীমান্ত সংলগ্ন পাহাড়ি জঙ্গলে। ভারত চায় অনুপ্রবেশ ও জঙ্গি দমনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিক থেন সুই সরকার। সে প্রতিশ্রুতিও দিল্লি আজ আদায় করে নিয়েছে মায়ানমারের কাছ থেকে। সন্ত্রাস দমনে দিল্লির সঙ্গে একজোট হয়েই লড়বেন বলে জানিয়েছেন মায়ানমারের প্রেসিডেন্টও।
আর মায়ানমার বলতে গেলে যার কথা না বললে শেষ হয় না, তিনি হলেন দেশের বিরোধী দলনেত্রী তথা ‘গণতান্ত্রিক আন্দোলনের প্রতীক’ 'আউং সাং সু চি' যিনি এখনো নিজের দেশটাকে বর্মা নামেই ডাকেন।
বাণিজ্যনগরীর নাম বলতে গিয়ে রেঙ্গুন-ই বলেন, ইয়াঙ্গন নয়। ভারতের কথা উঠলেই হারিয়ে যান প্রায় পাঁচ দশক আগে দিল্লিতে ফেলে আসা স্কুল-কলেজের জীবনে, যেখানে আজও তাঁর স্মৃতির অনেকটা জুড়ে ‘পণ্ডিতজি’, জওহরলাল নেহরু। যাঁর হাত ধরে দিন বদলের স্বপ্ন দেখছে মায়ানমার। অথচ নোবেলজয়ী সেই স্বপ্নের কাণ্ডারী নিজে বদলাননি একটুও।
মায়ানমারে বিরোধী গণ আন্দোলনে ভারতের সমর্থন পাননি— মুক্তির পর এমন অভিযোগই করেছিলেন আউং সান সু চি।আজ প্রায় সিকি শতাব্দী পর নয়াদিল্লিতে পা রেখে কিন্তু সেই হতাশা অনেকটাই কাটিয়ে উঠলেন ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসির প্রধান এই নেত্রী। সনিয়া গাঁধীর আমন্ত্রণে ভারতে এসে জওহরলাল নেহরু স্মারক বক্তৃতায় ভারত-বন্ধু হিসেবেই নিজেকে তুলে ধরেছেন সু চি। অন্য দিকে মায়ানমারের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে তাঁর সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহও সদর্থক বার্তা দিয়েছেন। আগামী বছর সে দেশে নির্বাচন হওয়ার কথা।
সু চি-র সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, “আমাদের শুভেচ্ছা আপনার সঙ্গে রয়েছে। গণতন্ত্রের জন্য আপনার সংগ্রামের প্রতিও আমাদের শ্রদ্ধা রয়েছে। যে সাহস আপনি দেখিয়েছেন, তা প্রশংসনীয়।” বিদেশ মন্ত্রক সূত্রে বলা হয়েছে, নতুন করে মায়ানমার গড়ে তোলার প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা হয়েছে মনমোহন এবং সু চি-র মধ্যে। তবে তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে সামরিক নেতা থান শোয়ে এবং সু চি দু’জনেরই প্রশংসা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। পরে বিজ্ঞানভবনে বক্তৃতা দেওয়ার সময় সু চি বলেছেন, “ভারত আমাদের কাছ থেকে কতটা দূরে সরে গিয়েছে বা আমরা ভারতের সঙ্গে কতটা দূরত্ব তৈরি করেছি, এ সবের মধ্যে আজ আর আমি যেতে চাই না।
শুধু চাই দু’দেশের মধ্যে যেন চিরস্থায়ী সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সরকার আসবে যাবে। কিন্তু দু’দেশের মানুষের মধ্যে যোগসূত্র যেন দৃঢ় হয়।”সনিয়া গাঁধীও বিজ্ঞান ভবনে তাঁর বক্তৃতায় উষ্ণ অভিনন্দন জানিয়েছেন সু চি কে। বলেছেন, মায়ানমারের এই নেত্রীর স্থান ‘কোটি কোটি ভারতবাসীর হৃদয়ে’।
প্রথমেই বলি আর পাঁচটা দেশের মতো মায়ানমারের গণতন্ত্র নয়। তাই আউং সাং সু চি কে মায়ানমারের গণতন্ত্রের বীজ শক্ত মাটিটে বপন করতে হবে , যাতে আবার সামরিক সরকার না ফিরে আসে। ২০১৪ তে ভোটের ফলাফলের উপর নির্ভর করছে সব কিছু। তবে সু চি ক্ষমতাই থাকলে আমার মতে ভারতের একটা সুভিধা-ই হবে। কারন চেনা কাছের লোক ক্ষমতাই থাকলে যে কোন চুক্তি বা নীতি গ্রহনে একটা বাড়তি সুভিধা তো থাকবেই। আর দক্ষিণ এশীয়াতে ভারতের আরও একটু বেশি ক্ষমতা বাড়বে।
সম্প্রতি উদ্যোগী হয়েছেন মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী মায়ানমারের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নয়নে।
প্রতিবেশী মায়ানমার থেকে আসা রোগীদের জন্য চিকিত্সা পরিষেবা ও সিজা হাসপাতাল চত্বরে রোগীর আত্মীয়দের থাকার ব্যবস্থা করছে মণিপুর সরকার। মায়ানমারের ছাত্রদের জন্য মেডিক্যালে আসনও সংরক্ষণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। রাজ্যের বিদ্যুত্ সরবরাহ করে তামু শহর আলোকিত করতেও রাজি মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী। পরিবর্তে মায়ানমারের কয়লা কেবল ভারতকে বিক্রির আর্জি জানালেন তিনি।
মায়ানমারের সীমান্তবর্তী বেশ কিছু এলাকার মানুষ চিকিত্সার জন্য মণিপুরের উপরে নির্ভরশীল। এপ্রিল,২০১৩ তে মায়ানমারের ১১ জন প্রতিনিধি মণিপুর সফরে এসেছেন। প্রতিনিধি দলে আছেন সাগাইং অঞ্চলের সাংসদ তথা মায়ানমারের বিদ্যুত্মন্ত্রী ইউ কিয়াওউইন, দুই সাংসদ ও সেদেশের বাণিজ্য মন্ত্রকের আমলারা।
প্রতিনিধিরা লাঙ্গোল এলাকায় সিজা হাসপাতাল ঘুরে দেখেন। হাসপাতালের অধিকর্তা কে পালিন জানান, মায়ানমার থেকে আসা রোগীদের জন্য হাসপাতালে আসন সংরক্ষিত থাকে। রোগীর আত্মীয়দের থাকার জন্য হাসপাতাল চত্বরেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে। মায়ানমারের বিভিন্ন শহরে সিজা হাসপাতালের বারোটি তথ্য কেন্দ্রও খোলা হচ্ছে। পালিন বলেন, “আমরা অদূর ভবিষ্যতে এখানে একটি অক্সিজেন প্ল্যান্টও বানাতে চলেছি। সেখান থেকে উত্তর-পূর্ব ভারত ছাড়াও মায়ানমারে অক্সিজেনের জোগান দেওয়া হবে। কেবল তাই নয়, ভারতের ‘স্মাইন ট্রেন’ প্রকল্পের আদলে মায়ানমারের সাগাইং রাজ্যের মনিওয়া হাসপাতালে বিনামূল্যে কাটা ঠোঁট ও তালু জোড়ার দেওয়ার প্রকল্প হাতে নেওয়া হবে। এ নিয়ে ময়ানমারের সাগাইং-এর মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ইতিমধ্যেই প্রস্তাবপত্র পাঠানো হয়েছে।”
মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী ওক্রাম ইবোবি সিংহ বলেন, “মায়ানমারের মেধাবী ছাত্রদের জন্য মণিপুরের মেডিক্যাল কলেজে আসন সংরক্ষণ করা যেতে পারে।”মনিপুরের প্রধান সচিব ও নবকিশোর বলেন, “চিকিত্সার জন্য মণিপুরে আসা মায়ানমারের নাগরিকদের ভিসা দেওয়ার ব্যাপারটি যাতে দ্রুততার সঙ্গে কার্যকর করা যায় তা রাজ্য সরকার দেখবে।”
মায়ানমারের মন্ত্রী ইউ কিয়াওউইন বলেন, “মায়ানমারবাসীর চিকিত্সার জন্য মণিপুর সরকার ও সিজা হাসপাতাল যে সাহায্য করছেন তার জন্য ধন্যবাদ। মণিপুরের তরফে জমা দেওয়া প্রস্তাবগুলি নিয়ে দেশে ফিরে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
মায়ানমারের প্রতিনিধিরা সীমান্ত শহর তামুর জন্য ২ থেকে ৩ মেগাওয়াট বিদ্যুত্ সরবরাহের আর্জি জানিয়েছে। মণিপুর থেকে বিদ্যুত্ কেনার ব্যাপারে একটি লিখিত প্রস্তাবও তাঁরা জমা দিয়েছেন। মনিপুরের মুখ্যমন্ত্রী ওক্রাম ইবোবি সিংহ জানান, কেন্দ্রের সবুজ সংকেত পেলেই মোরে সাব স্টেশন থেকে তামুতে বিদ্যুত্ পাঠানো যাবে। বর্তমানে তামু শহরে আলো জ্বালাবার জন্য ডিজেল চালিত জেনারেটর ব্যবহার করা হয়। যা অত্যন্ত খরচসাপেক্ষ ও পরিবেশ-বিরোধী। ইউ কিয়াওউইন তামুতে তাপবিদ্যুত্ কেন্দ্র গড়ার জন্য ভারতীয় লগ্নিও আহ্বান করেন।
মনিপুরের মুখ্যমন্ত্রী ওক্রাম ইবোবি সিংহ মায়ানমারের প্রতিনিধিদের আর্জি জানিয়েছেন, দুই দেশের সম্পর্ক আরও মজবুত করতে মালয়শিয়া নয়, কেবল মাত্র ভারতকেই কয়লা বিক্রি করুক মায়ানমার। মণিপুরের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক বৃদ্ধির উদ্দেশে মায়ানমারের তরফে ইম্ফলে একটি কনসুলেট খোলার ব্যাপারেও প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। মনিপুরের শিল্প-বাণিজ্যমন্ত্রী কুংথৌজাম গোবিন্দাস বলেন, “জুলাইয়ে ইম্ফল বিমানবন্দর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের স্বীকৃতি পেতে চলেছে। ভারতের ইম্ফল বিমানবন্দরকে ভিত্তি করে মণিপুর ও মায়ানমারের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও বাড়তে চলেছে।”
--------------------------^^^^^^^^^^^^^---------------------------
>>.........>>...... কিছু প্রাসংগিক লিংক ......>>
( যেখান থেকে সাহায্য নিয়েছি )
বাঃ! ভালো লিখছ, আরো লিখে যাও।
ReplyDeleteআমার ব্লগপোস্ট পড়ার জন্য ধন্যবাদ দাদা।
Delete