মহাসমুদ্রে রণতরী থেকেই লক্ষ্যে আঘাত হানতে উড়ে যাবে যুদ্ধ বিমান। এবার সেই রকমই রণতরী তৈরি করল ভারত সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে। ভারতীয় নৌবাহিনীর মুকুটে নতুন পালক 'আই এন এস বিক্রান্ত'।
কোচি শিপ ইয়ার্ড থেকে ১২ অগাস্ট, সোমবার '২০১৩ -ই প্রথমবার জলে নামে এই বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজ।
বিশ্বে হাতেগোনা কয়েকটি দেশের কাছে সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি এরকম এয়ারক্র্যাফ্ট ক্যারিয়ার রয়েছে। এবার সেই এলিট ক্লাবের সদস্য হল ভারতও। এই ঘটনাকে তাই দেশের বড়সড় সাফল্য বলে মনে করছেন অনেকেই। যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, রাশিয়া ও ফ্রান্সের পর একমাত্র ভারত বিমানবাহী রণতরী তৈরি করলো। ভারত মহাসাগরে চীনের ক্ষমতাবৃদ্ধির সময়েই এই বিমানবাহী রণতরী চালু করার ঘোষণা করল ভারত।
৩৭ হাজার ৫০০ টন ধারণক্ষমতা সম্পন্ন এই রণতরীটি এখন দক্ষিণ ভারতের কোচি শিপইয়ার্ডে রয়েছে। এই আইএনএস বিক্রান্ত এয়ারক্র্যাফ্ট ক্যারিয়ার রণতরীটি তৈরি করতে সময় লেগেছে সাড়ে চার বছর। জাহাজটি লম্বায় ২৬০ মিটার, চওড়ায় ৬০ মিটার। আইএনএস ভিক্রান্ত থেকে প্রয়োজনে মিগ ২৯, লাইট কমব্যাট এয়ারক্র্যাফ্ট (হালকা যুদ্ধবিমান), হেলিকপ্টার ও কামোভ থার্টিওয়ানের মতো যুদ্ধবিমান ওঠানাম করতে পারবে। এর দু’টি উড্ডয়ন রানওয়ে ও একটি অবতরণ রানওয়ে আছে।
নৈবাহিনীকে আরও শক্তিশালী করতে আইনএস বিক্রান্তের মতো আরও এয়ারক্র্যাফ্ট ক্যারিয়ার তৈরি জরুরি বলে মনে করেন প্রাক্তন সেনাপ্রধান জেনারেল শঙ্কর রায়চৌধুরীও।
তবে উদ্বোধন হলেও আইনএস বিক্রান্তকে এখনই নৌবাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে না। ২০১৬ সাল পর্যন্ত জাহাজটির বহন ও সহনক্ষমতা বিভিন্নভাবে পরীক্ষা করে দেখা হবে। সব পরীক্ষা নিরীক্ষার পর জাহাজটিকে ২০১৮ তে নৌবাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া হবে।
জয় হিন্দ। জয় জাওয়ান । জয় কৃষাণ ।
No comments:
Post a Comment