Friday, 25 October 2013

মালদ্বীপ ও ভারত

    প্রায় তিরিশ বছর ধরে মালদ্বীপে একাধারে শাসন করেছেন এক ব্যক্তি, মাউমুন আবদুল গাইয়ুম, যিনি এক সময়ে নিজের শাসনকালে খুবই শক্তিশালী ও প্রভাবশালী গোষ্ঠী তৈরী করেছিলেন নিজের পক্ষের লোকদের নিয়ে, যাদের স্থানীয় অনুপাতে শাসক ধনীগোষ্ঠী বলেই মনে করা যেতে পারে। বিদেশনীতিতে গাইয়ুম অনেকটাই চিন পন্থী ছিলেন  আর তাঁর শাসনের শেষের দিকে, ২০০০ সালের শুরুতে, সংবাদ মাধ্যমে খুবই সক্রিয়ভাবে শোনা যাচ্ছিল যে, আগামী একদশকের মধ্যেই এই দ্বীপপূঞ্জের একটিতে চিনের ডুবোজাহাজের জন্য বন্দর তৈরী করা হবে। 


মালদ্বীপ ও ভারত   ২০০৮ সালে মালদ্বীপের প্রথম গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে জিতেছিলেন ভারতের পক্ষে মানসিকতা সম্পন্ন প্রার্থী মোহাম্মদ নাশিদ। ভারত মহাসাগরে ভারত থেকে ৪৫০ কিলোমিটার দূরত্বের মালদ্বীপ পর্যটনের জন্য বিখ্যাত। ক্ষমতাই আসার ২ বছরের মধ্যেই মালদ্বীপের উন্নয়নের লক্ষে ২০১০ এ  মালে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উন্নয়ন ও ২৫ বছর ধরে পরিচালনার জন্য ভারতীয় নির্মাণ প্রতিষ্ঠান GMR এবং মালয়েশিয়ার এয়ারপোর্ট হোল্ডিং বারহার্ডের যৌথ উদ্যোগে ৫১ কোটি ডলারের চুক্তি করে মালদ্বীপ।
    ১২ নভেম্বর,২০১২, মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ নাশিদ মালেতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের সঙ্গে দু'দেশের মধ্যে একাধিক চুক্তি স্বাক্ষর করেন। চুক্তি হয় 'সহযোগিতা ও মালদ্বীপের কাঠামো উন্নয়নের' সহ ৬ টি বিষয়ে। চুক্তিগুলো বাণিজ্য, বিনিয়োগ, খাদ্য নিরাপত্তা, মত্স্য শিল্প, পর্যটন, পরিবহন, তথ্য প্রযুক্তি, জ্বালানি সহ নানা ক্ষেত্রের সঙ্গে জড়িত। এর পাশাপাশি ভারত মালদ্বীপের জন্য ঋণদান সহায়তা দেবে। অবশ্যয় দু'দেশের মধ্যে চুক্তি গুলির মূল লক্ষ্য হল, বাণিজ্য ও সন্ত্রাস দমন ক্ষেত্রে সহযোগিতা আরও বাড়ানো।
       এই চুক্তিপর্বে নাশেদ বলেন, মালদ্বীপ আর ভারতের মধ্যে ঐতিহ্যবাহী বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আছে। মালদ্বীপ দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলের ব্যাপারে ভারতের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাকে সম্মান করে। মনমোহন সিং প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে, ভারত মালদ্বীপের জন্য একটি মৈত্রী হাসপাতাল নির্মাণ করবে এবং মালদ্বীপকে ১০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণদান সহায়তা দেবে। 
      চুক্তিগুলো দেখে এটা বুঝতে নিশ্চয় কারো অসুবিধা হবার কথা নই যে, মালদ্বীপের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে এটা একটা অভুতপূর্ণ পদক্ষেপ। এককথায় মালদ্বীপের অর্থনীতির ভিত তৈরিতে একটা পজিটিভ সাড়া ভারতের তরফ থেকে।
মালদ্বীপের অর্থনীতির একটা বড় অংশ আসে পর্যটন শিল্প থেকে। আর একটা হল মৎস্য শিল্প। 
মালদ্বীপ ও ভারত
     মালদ্বীপের কাঠামো উন্নয়নের লক্ষে ২০১০ এ মালে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উন্নয়ন ও ২৫ বছর ধরে পরিচালনার জন্য ভারতীয় নির্মাণ প্রতিষ্ঠান GMR এবং মালয়েশিয়ার এয়ারপোর্ট হোল্ডিং বারহার্ডের যৌথ উদ্যোগে ৫১ কোটি ডলারের চুক্তি করে মালদ্বীপ। পূর্বতন রাষ্ট্রপতি মহম্মদ নাসিদের সরকার এই বরাত দিয়েছিল।
GMR India
      ২০১২ তে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনে মালদ্বীপের নতুন রাষ্ট্রপতি হন মহম্মদ ওয়াহিদ। তাঁর সরকার অভিযোগ করে, চুক্তির মধ্যে যাত্রীদের কাছ থেকে ২৫ডলার করে বিমানবন্দর চার্জ নেবার কথা রয়েছে অথচ তা সংসদে অনুমোদিত নয় এবং আগের সরকার GMRকে অবৈধ সুবিধা করে দিয়েছে। 
      চুক্তির ধারা নতুন করে ঠিক করার চেষ্টা করে ওয়াহিদের সরকার। দাবি করে যাত্রী পিছু ওই ২৫ ডলার বিমানবন্দর কর নেওয়া যাবে না। বরাত সংস্থা GMR দাবি করে তা হলে বিমানবন্দর তৈরির খরচ উঠবে কোথা থেকে ?  বিনা খরচে তো আর বিমানবন্দর বানানো যায় না!
স্বাভাবিক ভাবেই চুক্তির ধারা নতুন ঠিক করা গেল না! ব্যর্থ হবার পরে সরকার ঘোষণা করে মালদ্বীপের বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষই রাজধানী মালের ইব্রাহিম নাসির আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর চালাবে। 
মালে বিমানবন্দর ( মালদ্বীপ ও ভারত)
        ওই বিমানবন্দর সরকারের হাতে নিয়ে নেওয়ার কথাও জানিয়ে দেওয়া হয়। GMR চুক্তির ধারা অনুযায়ী সিঙ্গাপুরের আদালতে মামলা করে, এই দাবি নিয়ে যে, গত ২ বছরে তারা ওই বিমানবন্দর তৈরিতে অনেক খরচ ইতিমধ্যেই করে ফেলেছে। আর বাকি খরচ করতেও তারা বদ্ধপরিকর। কিন্তু মালদ্বীপ সরকারের মত পরিবর্তন তাদের চুক্তির প্রোটকল অনুযায়ী ববসার ক্ষতি করছে। সিঙ্গাপুরের আদালত রায় দেন, সেই দেশের সরকার তার নিজের দেশে যে কোনও সংস্থাকে বরাত থেকে বরখাস্ত করতেই পারে! কিন্তু প্রয়োজনীয় ক্ষতিপূরণ মিটিয়ে দিতে হবে। এই প্রসঙ্গে মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতির মুখপাত্র দাবি করেছিলেন, আদালত ক্ষতিপূরণের কথা বলেছে কিন্তু সরকারের সিদ্ধান্ত নাকচ করেনি। মালদ্বীপের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী মহম্মদ নাজিম বলেছেন, আমাদের সিদ্ধান্ত অপরিবর্তনীয়। শনিবার থেকেই মালদ্বীপের বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ ওই বিমানবন্দর চালাবে। তাছাড়াও চুক্তি বহাল রাখার জন্য GMR চেয়ারম্যান জিএম রাও প্রেসিডেন্ট ওয়াহিদকে লেখা একটি চিঠিতে মালদ্বীপবাসীদের ক্ষোভ প্রশমনের উদ্দেশ্যে চুক্তিতে সংশোধনী জুড়ে দেয়ার প্রস্তাব দেন। চিন ঘনিষ্ঠ প্রেসিডেন্ট ওয়াহিদ রাওয়ের প্রস্তাব উপেক্ষা করেন এবং রাওয়ের চিঠির জবাব দেননি। 
মালে বিমানবন্দর ( মালদ্বীপ ও ভারত)

         স্বাভাবিক ভাবেই দু'দেশের মধ্যে সংঘাত চরমে ওঠে। ভারত বিরোধী সেন্টিমেন্ট বৃদ্ধি পাওয়ায় ভারত তৎক্ষণাৎ ২৫মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বরাদ্দকৃত ঋণ আটকে দেয়। এই অর্থ কেন্দ্রের বাজেটেই বরাদ্দ করে রাখা ছিলো। সিঙ্গাপুর আদালতের রায়ও খতিয়ে দেখছে দিল্লি। দেশটির অর্থনৈতিক ভারসাম্যে সহায়তার জন্য ভারত ঋণ দেয়ার অঙ্গীকার করেছিল। বরাদ্দকৃত অর্থ ছিল ১০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ সহযোগিতার অংশ বিশেষ। গত ২০১২র নভেম্বরে এই ঋণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। তবে শর্ত ছিল, ঋণ-তহবিলের অর্ধেকই ব্যয় করতে হবে ভারত থেকে পণ্য আমদানির জন্য। পাশাপাশি ভারত আগামী বছরের প্রথম দিকেই পূর্বের ঋণ পরিশোধের জন্যও চাপ প্রয়োগ করে আসছিল। 

   মালদ্বীপ ভূ-রাজনৈতিক দিক থেকে এক অতুলনীয় অবস্থানে রয়েছে। মালদ্বীপের আয়তন 300 km²। আর World Bank এর হিসাবে Population :- 338,442 (2012) জন। [Gross National Income in PPP$ is $2.60182 Billion (1 million=10 lakhs, 100 lakhs = 1 crores, 1 billion=100 crores and 1trillion = 1000 billion)] মানে মালদ্বীপের অর্থনীতি ২৬০ কোটি টাকার।
নিচে দেখানো হল মালদ্বীপের অর্থনীতির গ্রাফ। লক্ষ্য করে দেখুন ২০০৮ থেকে ২০১২ র মধ্যে মালদ্বীপের অর্থনীতি প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। যে সময় টার বেশির ভাগ সময়ই ক্ষমতাই ছিল ভারতপন্থী রাষ্ট্রপতি মহম্মদ নাসিদ। 
মালদ্বীপ এর অর্থনীতির গ্রাফ (মালদ্বীপ ও ভারত)
   এই দেশ, যা ১২০০ দ্বীপের সমন্বয়ে সৃষ্ট, তা ভারত মহাসাগরের উত্তরের দিকে একেবারে কেন্দ্রীয় এলাকাতে রয়েছে, আর তার সমুদ্রতীরের খুব কাছ দিয়েই সমস্ত খনিজ তেল পরিবহনের শতকরা চারের তিন ভাগ করা হয়ে থাকে – প্রাথমিক ভাবে আফ্রিকা থেকে ও নিকটপ্রাচ্য থেকে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া ও চিনে। 
মালদ্বীপ ও ভারত

    এদিকে চীন যে মালদ্বীপের দিকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য তার উদ্যোগকে পর্যবেক্ষণ করছে ভারত। দক্ষিণ এশিয়ায় চীন তার কূটনৈতিক ও সামরিক প্রভাব বৃদ্ধি করছে। ২০১১ তে ভারতের কর্মকর্তাদের প্রকাশ্য বিরোধিতা সত্ত্বেও চীন মালেতে তার দূতাবাস খুলেছে। প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকরা দাবি করেছেন, দক্ষিণ চীন সাগরীয় অঞ্চলে ভারতের ক্রমবর্ধমান প্রভাব মোকাবিলা করার জন্যই চীন এ অঞ্চলে তার অবস্থান জোরদার করতে চাইছে। এছাড়া চীন  ১১৯০ দ্বীপ বিশিষ্ট দেশটিতে দুটি বা তারও বেশি কয়েকটি বড় ধরনের উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করার পদক্ষেপ নিয়েছে। বিশেষ করে ইহাবন্দু ও মারান্দু দ্বীপে দুটি পণ্য পরিবহন বন্দর তৈরির আগ্রহ দেখিয়েছে চীন। এছাড়া দেশটির মারো দ্বীপে একটি নৌ সাবমেরিন ঘাঁটি স্থাপনের পরিকল্পনাও করেছে চীন। এ ছাড়া গত মে মাসে চীনা নেতা বাংগু মালদ্বীপ সফরের পর মালদ্বীপে চীনের উপস্থিতির উদ্যোগ আরো জোরদার হয়েছে।।
মালদ্বীপ ও ভারত
---------------------------
এবার আসি এখনকার পরিস্থিতিতে, 
মাউমুন গাইয়ুম-এর দীর্ঘ তিন দশকের স্বৈরশাসনের অবসান ঘটিয়ে দেশের প্রথম গণতান্ত্রিক নির্বাচনে (২০০৮) যে মহম্মদ নাসিদ প্রেসিডেন্ট পদে জয়লাভ করেছিলেন, তাঁকে ২০১২ সালে পদত্যাগে বাধ্য করেন ভাইস-প্রেসিডেন্ট মহম্মদ ওয়াহিদ, যিনি নিজেই প্রেসিডেন্ট হয়ে বসেন মালদ্বীপের, কোনও নির্বাচন ছাড়ায়। 
পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দিন ধার্য ছিল গত সেপ্টেম্বরে। ২০১৩ র সেপ্টেম্বরের নির্বাচনে কোনও প্রার্থীই 50% ভোট না-পাওয়ায় পুনরায় ভোটগ্রহণ ধার্য হয় অক্টোবর মাসে(2013)। 
এখন অক্টোবর মাস চলছে। সেই নির্বাচনের মহাক্ষণ আসতেই সশস্ত্র ভূমিকায় অবতীর্ণ হয় পুলিশবাহিনী, আরও স্পষ্ট করে বললে বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ওয়াহিদের পুলিশবাহিনী। পুলিশ নির্বাচন স্থগিত করতে নির্বাচন কমিশনকে বাধ্য করার পর নাশিদ সমর্থকরা রাজপথে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
     আসলে ৪৫ শতাংশ ভোট পাওয়া প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট নাসিদের পুনরায় প্রেসিডেন্ট হওয়া আটকাইতেই বর্তমান প্রশাসনের এই চক্রন্ত।
নাসিদের অপরাধ যে, তিনি দ্বীপপুঞ্জে ভারতবন্ধু বলে পরিচিত। 
ভারত যে এই দ্বীপপুঞ্জে গণতন্ত্রের প্রসার দেখতে চায়, তাহা নয়াদিল্লি কখনও গোপন করেনি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ব্রিটেনও এ ক্ষেত্রে ভারতের সহযোগী। কিন্তু এই দ্বীপপুঞ্জের নির্বাচনের বিষয়ে চিনও কম উৎসুক নয়। 

ভারতবন্ধু মহম্মদ নাসিদ সম্ভবত সে ব্যাপারে চিনকে সহায়তা দিতে আগ্রহী নন। এই জন্যই কি সস্ত্রত  প্রতিরোধ ?
নির্বাচন কমিশনের প্রধান ফুয়াদ তৌফিক ৯ নভেম্বর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের নতুন তারিখ ঘোষণা করলেও পুলিশ বাহিনী ভোটগ্রহণ বন্ধ করে দেয়। মালদ্বীপের সংবিধান অনুযায়ী ১১ নভেম্বরের মধ্যে নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কমিশন প্রধান ২ থেকে ৯ নভেম্বরের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রচেষ্টা চালানোর কথা বলেন।
মালদ্বীপ ও ভারত

মলদ্বীপে আজ যে সব ব্যক্তি বা স্বার্থচক্র গুলি দেশের জনপ্রিয় রাজনীতিক মহম্মদ নাসিদকে ক্ষমতা দূরে রাখার চক্রান্ত করছে, তাদের নিশ্চয় খেয়াল আছে যে, বর্তমান প্রেসিডেন্ট মহম্মদ ওয়াহিদ একসময় নাসিদকে ক্ষমতাচ্যুত করেছিলেন, তিনি মোটেও ভোটাধিক্যে জিতে ফিরে আসছেন না। এটাই একমাত্র ভারতের আশার কথা। 

  চিন তার উপঢৌকনের পসরা সাজিয়ে এই দ্বীপরাষ্ট্রের জনসাধারণ ও রাজনীতিকদের পক্ষে টানার চেষ্টায় কসুর করছে না। তুলনায় নয়াদিল্লি অনেকটাই পিছিয়ে! 
সুতরাং ভারতের প্রভাব-বলয়ের মধ্যে হওয়া সত্ত্বেও শ্রীলঙ্কার মতোই মলদ্বীপও নয়াদিল্লির আর নির্ভরযোগ্য মিত্র নয়। ভারতের বিদেশসচিব সুজাতা সিংহ এই প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘মলদ্বীপের সমস্যা ভারতেরও সমস্যা’।
তবে একমাত্র গণতন্ত্রের যুক্তিতে মলদ্বীপের রাজনীতিতে কোনও  বহিঃশক্তির হস্তক্ষেপ করা ঠিক নয়, ভারতের এই অভিমত বদলাতে হবে। দেশের গণতন্ত্রের স্বার্থে প্রয়োজনে যে কোনও রকমের বড় মত গ্রহনে পিছু পা হলে চলবে না। দৃঢ় পদক্ষেপ গ্রহন করতে হবে, যাতে করে যেন ভারতের প্রভাব-বলয়ের মধ্যে থাকা কোনও দেশে ভারত বিরোধী একটা শ্লোগান দেওয়ার মতো কেও না থাকে!
মালদ্বীপ ও ভারত
      শেষ করার আগে একটা কথা বলতে চাই, 300 Km2 আয়তনের মালদ্বীপের জনসংখ্যা 
338,442 (2012) জন। এখানে ভারতীয় আর্মিকে একটু তার কেরামতি দেখাতে বললে কি কোনও প্রবলেম আছে ???
'৪৭-এর স্বাধীনতার সময় হায়দারবাদ, জুনাগর কে যদি ভারত ভুক্ত করা যেতে পারে তা হলে মালদ্বীপ কে ভারত ভুক্ত করতে সমস্যা কোথায় ? এই সব সমস্যা থেকে বাঁচার জন্য ভারতের শুধু দরকার একটা প্যাটেল ভাই! আসলে তখনকার ভারতের ছিল বীর সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল। যে চরিত্রের রাজনীতিবিদ এখনকার ভারতীয় রাজনীতিতে খুবই দরকার; কিন্তু সে চরিত্রতো কালের সাথে সাথে বিলিন হয়ে গেছে!

No comments:

Post a Comment