Sunday, 14 July 2013

টিপাইমুখ বাঁধ বন্ধে আসুন সবাই আমরা একসাথে জনমত গড়ি

ভূ-তাত্ত্বিক অবস্থান

টিপাইমুখ বাঁধ প্রকল্পের ভূ-তাত্ত্বিক অবস্থান খুব গুরুত্বপূর্ণ। বরাক উপত্যকার নিচে চ্যুতিটি বরাক ও এর অন্যান্য শাখা-প্রশাখাগুলোর গতি-প্রকৃতি নির্ধারণ করে। প্রস্তাবিত ড্যামটির অবস্থান তাইথু ফল্টের উপর যা ভূ-তাত্ত্বিকভাবে সক্রিয় এবং ভবিষ্যতে ভুমিকম্পের কেন্দ্র হতে পারে। এছাড়া, সঞ্চরণশীল ভূ-ত্বকীয় প্লেট (ইন্ডিয়ান ও বার্মিজ প্লেট) এই অঞ্চলকে বিশ্বের অন্যতম একটি ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চলে পরিণত করেছে। রিক্টার স্কেলে ৭ এর উপরের মাত্রার অন্তত দুটি ভূমিকম্প টিপাইমুখের ১০০ কি.মি. ব্যাসার্ধের মধ্যে অনুভূত হয়েছে গত ১৫০ বছরে; যার মধ্যে সর্বশেষটির উপকেন্দ্র ছিল টিপাইমুখ থেকে মাত্র ৭৫ কি.মি. দূরে, ১৯৫৭ সালে। উপরন্তু ইন্দো-বার্মা রেঞ্জে টেকটনিক প্লেটের সঞ্চারণের ফলে এ অঞ্চলে মাটির অল্প গভীরে উৎপন্ন ভূমিকম্পের প্রবণতা বেশি। এই ধরনের কম্পনগুলোর তীব্রতা কম হলেও বেশি বিধ্বংসী। বিভিন্ন গবেষণায় পূর্ববর্তী ভূমিকম্পের রেকর্ড, ভূ-ত্বাত্তিক ডাটা এবং টেকটনিক প্লেট সঞ্চারণের ইতিহাস তাই এ আশঙ্কাই ব্যক্ত করে যে, টিপাইমুখ ড্যামটি ভূমিকম্পের জন্য সবচেয়ে বিপদজ্জনক একটি অঞ্চলে অবস্থিত।

টিপাইমুখ বাঁধের প্রভাবআন্তর্জাতিক আইন অনুসারে কোন দেশ অভিন্ন নদীর উজানে কোন কাঠামো নির্মাণ করতে হলে অবশ্যই এর ভাটিতে বসবাসকারী জনপদের উপর বিরূপ প্রতিক্রিয়ার কথা ভাবতে বাধ্য। দূর্ভাগ্যজনকভাবে দীর্ঘ দিন পেরিয়ে যাওয়ার পরও ভারতের টিপাইমুখ বাঁধ নির্মাণের ফলে বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের উপর অবশ্যম্ভাবী বিরূপ প্রতিক্রিয়ার চিত্রটি কোন গবেষণায় স্পষ্টরূপে উঠে আসেনি। এরই মধ্যে বর্তমানে ভারত এই বাঁধ নির্মাণের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করে এনেছে। নির্মাণ কাজ শুরু হবার পথে। বাংলাদেশে উজান থেকে আসা পানির মোট ৭-৮% আসে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় অঞ্চলের বরাক নদী থেকে। মৎস্য সম্পদ আহরণ ও চাষাবাদের জন্য বৃহত্তর সিলেট অঞ্চলের লাখ মানুষ বরাক নদীর পানি প্রবাহের উপর নির্ভরশীল। পরিবেশবিদরা আশঙ্কা করছেন, এই বাঁধ নির্মাণের ফলে সুরমা, কুশিয়ারা ও মেঘনা অববাহিকার ২৭৫.৫ বর্গকি.মি. এলাকায় পরিবেশ বিপর্যয়সহ এই অঞ্চলের মানুষের জীবন-জীবিকা, অর্থনীতি, প্রাণীবৈচিত্র সবকিছুর উপর তাৎক্ষণিক ও দীর্ঘমেয়াদী কুফল দেখা দেবে। টিপাইমুখ ড্যাম পরিচালনার পূর্বে যখন রিজার্ভেয়রটি পূর্ণ করা হবে তখন স্বাভাবিকভাবে এর ভাটিতে পানিপ্রবাহ বিঘ্নিত হবে, যা ঐ অঞ্চলের স্বাভাবিক পরিবেশ ও ইকোসিস্টেমকে বাধাগ্রস্ত করবে। মৎস্য প্রজননে বিরূপ প্রভাব ফেলবে। এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, টিপাইমুখ ড্যাম নির্মাণের ফলে শুষ্ক মৌসুমে সুরমা-কুশিয়ারা অববাহিকায় প্লাবনভূমির পরিমাণ শতকরা ৬০% এবং ভরা মৌসুমে অন্তত ২২% হ্রাস পাবে; যদিও এই পরিমাণ ড্যাম ও ব্যারেজ পরিচালনাবিধির সাথে কম-বেশি হতে পারে। এখানে যে বিষয়টি উল্লেখ করার মত তা হলো বরাক থেকে কী পরিমাণ পানি কাছার সমতলে সেচের কাজে ব্যবহারের জন্য ডাইভার্ট করা হবে তার কোন সুনির্দিষ্ট তথ্য ভারতের কাছ থেকে পাওয়া যায়নি। এফএপি-৬ এর গবেষণা মতে টিপাইমুখ ড্যাম আর ফুলেরতাল ব্যারেজ নির্মাণের ফলে অমলসিধের কাছে বরাকের পানিপ্রবাহ ভরা মৌসুমে অন্তত ২৫% হ্রাস পাবে, সেই অনুসারে পানি সমতলও ১.৬ মিটার নেমে যাবে। অন্যদিকে শুষ্ক মৌসুমে (ফেব্রুয়ারি মাসে) বরাকের প্রবাহ অন্তত ৪.২ গুণ বৃদ্ধি পাবে এবং পানি সমতল বাড়বে প্রায় ১.৭ মিটার। এই অবস্থা সুরমা ও কুশিয়ারার প্রবাহকেও একইভাবে প্রভাবিত করবে। শুষ্ক মৌসুমে পানিপ্রবাহ বাড়লে সেচ ও নাব্যতার কাজে সুবিধা হবে কিন্তু কোন কোন অঞ্চল থেকে পানি নিষ্কাশনের প্রক্রিয়াটি ধীর হয়ে যাবে। ভরা মৌসুমে পানি প্রবাহ হ্রাস আর শুষ্ক মৌসুমে প্রবাহ বৃদ্ধি পেলে আপাত দৃষ্টিতে তাকে সুবিধাজনক বলে মনে হলেও দুটি বিষয় আরো গভীরভাবে ভেবে দেখতে হবে।

  1. শুষ্ক মৌসুমে পানিপ্রবাহ বৃদ্ধির কারণ
  2. বর্ধিত প্রবাহের প্রভাব
জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের কাজ শুরু হলে নিয়ন্ত্রিত প্রবাহের ফলে নির্দিষ্ট সময় অন্তর পানি ছাড়া হবে। এতে করে শুষ্ক মৌসুমে কিছু পানির সরবরাহ থাকবে। এছাড়া ধীরে ধীরে পানি ছাড়ার ফলে মাটির অভ্যন্তর দিয়ে পানির প্রবাহ প্রক্রিয়াও একই ভাবে পরিবর্তিত হবে। এই প্রবাহ প্রক্রিয়া নদীতে পানির প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করে। এ কারণে শুষ্ক মৌসুমে সুরমা, কুশিয়ারার পানি সরবরাহ বাড়বে। আগেই বলা হয়েছে সুরমা-কুশিয়ারা অববাহিকা নিচু জলাভূমিপূর্ণ। এই অঞ্চল শুষ্ক মৌসুম ব্যতীত অন্যান্য সময় জলমগ্ন থাকে। কিন্তু টিপাইমুখ বাঁধ নির্মাণের ফলে যদি শুষ্ক মৌসুমে পানি প্রবাহ ৬০% পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়, তবে এ সময় নীচুভূমিতে জলাবদ্ধতা তৈরি হতে পারে; সেই সাথে পাহাড়ী ঢলের পানি সহজে নামতে না পারার কারণে নীচু বাঁধ উপচে বিস্তীর্ণ বোরো ফসল বিনষ্ট হবার আশঙ্কা থাকবে। টিপাইমুখ বাঁধের প্রভাবে কালনী-কুশিয়ারা নদীর পলিভরাট প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হবে। ফলে নাব্যতা রক্ষায় অতিরিক্ত ড্রেজিংয়ের মত ব্যয়বহুল পদ্ধতির প্রয়োজন হবে। এছাড়া সুরমা কুশিয়ারাতে বন্যার পরিমাণ কমে যাবে ফলে পলল সমভূমিগুলো পলিমাটি বঞ্চিত হবে এবং নদী অববাহিকার মধ্যবর্তী সমভূমিগুলো নদীর সাথে সংযোগহীন হয়ে পড়বে। এছাড়া অন্তত ৪টি প্রকল্প টিপাইমুখ বাঁধের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। প্রকল্পগুলো হচ্ছে- আপার সুরমা-কুশিয়ারা রিভার প্রজেক্ট, সুরমা রাইট ব্যাংক প্রজেক্ট, সুরমা-কুশিয়ারা-বাউলাই বেসিন প্রজেক্ট এবং কুশিয়ারা বিঝনা ইন্টারবেসিন প্রজেক্ট। বাংলাদেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নদী মেঘনা বরাক তথা সুরমা-কুশিয়ারার সাথে সরাসরি যুক্ত বলে মেঘনার প্রবাহ হ্রাসের আশঙ্কা করা হচ্ছে। মেঘনার প্রবাহ হ্রাস পেলে এই অঞ্চলের কৃষি, মৎস্যসহ মানুষের নদীকেন্দ্রিক জীবনধারায় অস্বাভাবিক পরিবর্তন আসবে; এমনকি উজানের পানিপ্রবাহ হ্রাসের কারণে সাগর থেকে লবণাক্ততা উঠে আসার মত পরিবেশ বিপর্যয়ের আশঙ্কাও অমূলক নয়। টিপাইমুখ বাঁধ নির্মাণের ফলে বাংলাদেশে পরিবেশগত কি বিপর্যয় ঘটতে পারে সে সম্পর্কে সুস্পষ্ট গবেষণা সীমিত হলেও একথা অনস্বীকার্য যে, বাঁধের উজান ও ভাটিতে স্বাভাবিক প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ, ভাটি অঞ্চলে প্লাবন সমভূমি নষ্ট, মৎস্যসহ অন্যান্য জলজ প্রাণীর চলাচল, পলি ও পুষ্টি উপাদানের প্রবাহ বিঘ্নিত হবে; যা বাঁধের নিকটবর্তী এলাকা থেকে শুরু করে বহুদূর পর্যন্ত বিস্তৃত হতে পারে। শুধু ভাটির দেশ হিসাবে বাংলাদেশই নয় বরং এই প্রকল্পের ফলে খোদ ভারতে ২৭,২৪২ হেক্টর বনভূমি বিনষ্ট হবে। আসাম, মণিপুর ও মিজোরামের ৩১১ বর্গ কি.মি. ভূমি প্লাবিত হবে যার অধিকাংশই আদিবাসী অধ্যুষিত। এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ১৪৬১ হামর পরিবার এবং জিলিয়ানগ্রং নাগা উপজাতিদের এক-তৃতীয়াংশ তাদের আবাসস্থল ছাড়তে বাধ্য হবে। হামর আর নাগা উপজাতিদের ৬৭টি গ্রাম আংশিক বা সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বরাক-প্রপাতের মত অনেক ধর্মীয় তীর্থস্থান তলিয়ে যাবে। আর এই সব কিছুই জাতিসংঘ ঘোষিত আদিবাসী অধিকার ও স্বার্থ পরিপন্থী। সম্প্রতি ভারতের মণিপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক জানিয়েছেন, এ বাঁধ নির্মিত হলে রিখটার স্কেলের ৭ মাত্রার ভূমিকম্পে এর পার্শ্ববর্তী ২০০ বর্গকি.মি. এলাকা ধ্বংসস্তুপে পরিণত হতে পারে। (From- wikipedia--> টিপাইমুখ বাঁধ)
----------------------------------------------------------------
টিপাই মুখ বাঁধের জন্য ৮২-লক্ষ গাছ কাটবে সরকার। কী করা যায় এখন???

বাঘ, চিতাবাঘ, ভালুক, রক পাইথন, ধনেশের মতো চেনা-অচেনা হরেক পশুপাখির ‘সংসার’ ওই জঙ্গলে। শ’তিনেক বর্গকিলোমিটার বিস্তৃত সেই অরণ্যে রয়েছে ৮২ লক্ষ গাছগাছালিও যে সবের অনেক গুলিই বিরল প্রজাতির।
জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র গড়তে মণিপুর-মিজোরামে ছড়িয়ে থাকা ওই জঙ্গলই কেটে ফেলার পরিকল্পনা করছে প্রশাসন। সেখানে তৈরি হবে টিপাইমুখ বাঁধ। সরকারি সূত্রের খবর, প্রকল্পের ছাড়পত্র দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে কয়েকদিনের মধ্যেই আলোচনায় বসতে চলেছেন কেন্দ্রীয় বন ও পরিবেশমন্ত্রকের কর্তারা।

বন্ধুরা আমরা জলবিদ্যুৎকেন্দ্র তৈরির বিরোধী নই। সমস্যাটা অন্য জায়গায়। আপনারা নিশ্চয় টেলিভিশনের পর্দায় দেখেছেন, উত্তরাখণ্ডে মানুষের আর্তনাদ (দেবভূমিতে ধ্বংসলীলা)। কেমন ভাবে অলকনান্দার স্রোতে নিরীহ মানুষ গুলো তলিয়ে যাচ্ছে! আশা করি আপনারা জানেন কারন গুলো ! ওখানে কি ভাবে অসহায় চিতাবাঘ,উল্লুক, হরিন গুলো স্রোতে ভেসে যাচ্ছে আপনি দেখেছেন নিশ্চয় ? আজ ওই নিরীহ, অসহায় প্রাণী গুলো নিজেদের বাসস্থানে নিজেরায় বেসাহারা। আপনি একবার চিন্তা করে দেখেছেন ৮২ লাখ গাছ কাটা হলে পরিবেশে কি প্রভাব পরবে তার ?

    ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সাতটি ও সিকিমের দুটি নির্মাণাধীন জলবিদ্যুৎ প্রকল্প।  ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও সিকিম মিলিয়ে প্রায় ছয় হাজার ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনা রয়েছে। এর মধ্যে উত্তর-পূর্বাঞ্চলে চার হাজার ৫০০ মেগাওয়াট এবং সিকিমে এক হাজার ৬৯৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হবে। যে নয়টি জলবিদ্যুৎ প্রকল্প ভারত সরকার তৈরি করছে সে গুলোর বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা হল--
   উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সাতটি বিদ্যুৎ প্রকল্পের মধ্যে সুবর্ণসিঁড়িতে দুই হাজার মেগাওয়াট, টিপাইমুখে দেড় হাজার, উমিইউ প্রকল্পে (প্রথম ও দ্বিতীয় বাঁধ প্রকল্প) ৪৮৬, জাদুকাটায় (প্রথম ও দ্বিতীয় বাঁধ প্রকল্প) ৩৪৫, মাইনতুদু প্রকল্পে ৮৪, উমনগট প্রকল্পে ৫৬ এবং সোমেশ্বরী প্রকল্পে ৩৬ মেগাওয়াট। সিকিমের তিস্তা(৩)- প্রকল্পে এক হাজার ২০০ ও তিস্তা-৪ প্রকল্পে ৪৯৫ মেগাওয়াট।

এত গুলো প্রকল্প থাকতে আমারা শুধু টিপাইমুখ নিয়েই কেন প্রতিবাদ করছি আশা করি বুঝবেন !
টিপাইমুখে দেড়হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুতের মধ্যে বাংলাদেশও পাবে। মানে পুরোটা ভারতের হাতেও থাকছে না। তাছাড়াও পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি হবে।

শুধু মণিপুরেই প্রায় ৮২ লক্ষ গাছ কাটাতে হবে। ওই অরণ্য নষ্ট করা হলে গোটা মণিপুরে তার প্রভাব পড়বে। দেশের অন্য জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র গড়তে সাধারণভাবে যতটা সবুজ ধ্বংস করতে হয়, টিপাইমুখের জন্য তার চেয়ে অন্তত একশোগুণ বেশি অরণ্য কাটতে হবে। তা ছাড়াও, ওই জঙ্গলে বাঘ,চিতাবাঘ, মেঘলা চিতাবাঘ,উল্লুক, স্লো লরিস, পিগ টেল্ড ম্যাকাক, ভালুক, মালয় ভালুক, প্যাঙ্গোলিন, রক পাইথন, হিমালয়ান হলদে গলার মারটেন, ঘড়িয়াল, ধনেশ, কালো চিতাবাঘ-সহ বিলুপ্তপ্রায় অনেক প্রাণী থাকে। রয়েছে বিরল প্রজাতির উদ্ভিদও। বাঁধ তৈরির জন্য সে সবেরঅস্তিত্বও বিপন্ন হবে। ওই জঙ্গলের বাঁশের উপর এলাকার অনেক বাসিন্দা নির্ভরশীল। বিঘ্নিত হবেতাঁদের জীবনযাত্রাও। মিজোরামে ধ্বংস হবে ১৫৫২ হেক্টর বনভূমি। একটু আরামের চিন্তা বাদ দিয়ে মানবিক হয়ে বারাকবাসীর কথা একটু ভাবুন।




 জাতিসংঘের পিটিশেনে সাইন করুন। এক লক্ষ সাইন জমা পড়লে , জাতিসংঘ সরাসরি হস্তক্ষেপ করবে এখানে । ১ লক্ষের মধ্যে ৫৩ হাজার সাইন জমা পড়ে গেছে। এখনো ৪৭ হাজার মতো সাইনের দরকার। আপনিও এই পিটিসেনে যোগ দেন তাড়াতাড়ি। আপনার দেশকে বাঁচাতে আপনি ২ মিনিট সময় দিতে পারবেন না ? মাত্র ২ মিনিট সময় চাইছি আপনার কাছে। এই পিটিশেন টা প্রথম দাখিল করেছে বাংলাদেশের সাধারন জনগণ। আমি একজন ভারতীয় হয়েও বাংলাদেশের মানুষের এই পিটিশেন সমর্থন করি। দেশ বাঁচাতে এগিয়ে আসুন!

লিঙ্ক --> http://www.change.org/petitions/united-nations-tipaimukh-dam-must-be-stopped


 সমস্ত পেজ, গ্রুপ, ব্লগের এডমিনদের অনুরোধ করব লেখাটি শেয়ার করুন। আমাদের কোনো ক্রেডিট দেওয়া লাগবে না, দেশের জন্য কাজ করছি, নিজের নাম কমানোর জন্য নয়। যারা এই লেখাটি পড়ছেন তারা এই লেখাটিকে শেয়ার করুন। যত সম্ভব লেখাটিকে ছড়িয়ে দিন।
দেশের জন্য ২ টা মিনিট সময় দিন, আর কিছু না হোক অন্তত নিজের বিবেকের কাছে স্বচ্ছ থাকবেন।

1 comment:

  1. অঙ্কুর, আপনার ব্লগের প্রায় সবকটা লেখাই আমি পড়ে ফেললাম। বেশ উন্নতমানের লেখাই এখানে সংরক্ষিত হচ্ছে। পড়ে বড়োই আরাম পেলাম। আমি চাই আপনি আমার ব্লগেও লিখুন। আমার ব্লগে আপনার সাদরে আমন্ত্রণ রইল। আমার ব্লগ লিংক দিলাম : www.choroibeti-banglablog.blogspot.com

    ReplyDelete