বন্ধুরা ভারত আর চিন দুই এশিয়োইঙ্গিনের লড়াই দীর্ঘদিনের। মানে ড্রগণ বনাম হাতির লড়াই। প্রথমে হিন্দি চিনি ভাই ভাই স্লোগান। তার পর '62_র যুদ্ধ। যুদ্ধে কয়েকটা ভুল সিধান্ত ভারত কে ডুবিয়েছিল। সেই 62_র কথা এখন থাক। 2013 এখন। এখনকার কথা ভাবা যাক।
সম্প্রতি গত ১৫ এপ্রিল,২০১৩ রাতে আচমকাই চিনা সেনাবাহিনীর ৫০জন জওয়ান নিয়ন্ত্রণ রেখা অতিক্রম করে লাদাখের দৌলত বেগ ওল্ডি সেক্টরে ভারতীয় ভূখণ্ডের ১৯ কিলোমিটার ভেতরে ঢুকে পড়ে। পাঁচটি তাবু পেতে সেখানেই বসে পড়ে তারা। পরে জানা যায়, সেই রাতে সেনাদের সাহায্যের জন্য ২টি চিনা হেলিকপ্টারও ভারতের আকাশসীমায় ঢুকেছিল। ভারতের লাদাখের দৌলত বেগ সেক্টরে চিনা সামরিক ঘাঁটিকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা চরমে ছড়ায়।
তৎক্ষণাৎ ভারতীয় সেনাবাহিনী পিএলএ-এর তাঁবুর ঠিক উল্টো দিকে ৩০০ মিটারের মধ্যে অস্থায়ী ছাউনি তৈরি করে। চিনা সামরিক ঘাঁটির সামনে ঘাঁটি বানিয়ে পজিসেন নেয়। এরই পাশাপাশি, চিনা কর্তৃপক্ষকে 'শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান' বজায় রাখার অনুরোধ জানান ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র সইদ আকবরুদ্দিন। তাঁর কথায়,'অনুপ্রবেশের আগের অবস্থানে ফিরে আসার জন্য আমরা চিনা কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেছি।'
ভারতীয় ভূখণ্ড থেকে চিনা সেনা পূর্ব অবস্থানে না ফেরায় প্রথম ১০ দিনেই লাদাখের দৌলত বেগ সেক্টরে তিনটি ফ্ল্যাগ মিটিং হয়ে গিয়েছে। ফ্ল্যাগ মিটিংয়ে বসেছিলেন ভারত ও চিনা সেনাবাহিনীর ব্রিগেডিয়ার স্তরের কমান্ডাররা। নয়াদিল্লিতে নিযুক্ত চিনা রাষ্ট্রদূতকে ডেকে আলোচনাও হয়। কিন্তু ততদিনেও ভারতীয় ভূখণ্ড থেকে নড়ার নাম করেনি চিনা সেনা। সূত্রের খবর, বিষয়টি নিয়ে বিদেশ মন্ত্রকের সঙ্গে একমত ছিল না ভারতীয় সেনাবাহিনী। সেনার একটা বড় অংশ চেয়েছিল, চিনের এই কাণ্ডের ‘যোগ্য জবাব’ দেওয়া হোক।